যশোর সদরে আবাসিক এলাকার দুই বাড়িতে গভীর রাতে ডাকাতদের হানা

বিশেষ প্রতিনিধি
গভীর রাতে যশোর উপশহর ই ব্লক সংলগ্ন উত্তর দিকের মাঠ কিসমত নওয়াপাড়ারস্থ গড়ে ওঠা আবাসিক এলাকার দুই বাড়িতে ডাকাতেরা হানা দিয়েছে। ২০ থেকে ২৪ বছরের বয়সের একদল সশস্ত্র একদল ডাকাতেরা সামান্য দূরত্ব একটি নির্মানাধীন তিনতলা ও একতলার বাড়ির গ্রীল কেটে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে। মোবাইল ফোনের কারণে ডাকাতের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তবে রাত্রীকালীন পুলিশের  যথাযথ টহলের অবহেলার সুযোগে ডাকাতেরা হানা দিয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে,১৯ জুন সোমবার দিবাগত গভীর রাত অর্থাৎ ২০ জুন মঙ্গলবার রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় ৬/৭ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপশহর ই ব্লক ১নং রাস্তার উত্তর দিকে মাঠে কিসমত নওয়াপাড়াস্থ গ্রামের আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠে বিমান বাহিনীর মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার মহব্বত হোসেনের নির্মানাধীন তিনতলা ও ১শ’ গজ অদূরে সামছুর একতলার বাড়িতে হানা দেয়। সশস্ত্র ডাকাতেরা মহব্বত হোসেনের ও সামছুর   বাড়ির গ্রীল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। এর পর তারা ঘরের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করলে মহব্বত হোসেনের স্ত্রী ওই রাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আত্মীয়স্বজনকে সংবাদ দেয়। এক ডাকাত সদস্য মহব্বত হোসেনের ত্রীকে বারান্দায় থেকে চিৎকার করতে বাধা নিষেধ করার এক পর্যায় দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার হুমকী পর্যন্ত দেয়। মহব্বত হোসেনের আত্মীয় স্বজনেরা ওই রাতে ডাকাতদের প্রতিহত করতে ছুটে আসে। স্থানীয় লোকজন ডাকাতদের প্রতিহত করার চেষ্টার খবর ডাকাতেরা টের পেয়ে তারা পিছু হটে। যার ফলে ডাকাতেরা গ্রীল কেটে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন,যশোর তালবাড়িয়া ও উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের রাত্রীকালীন নিয়মিত টহলের অভাবে সশস্ত্র ডাকাতেরা ডাকাতি করতে হানা দেয়। পুলিশী টহল জোরদার থাকলে ডাকাতেরা ডাকাতি করতে সাহস পেত না। হঠাৎ ডাকাতদের হানায় উপশহর ই ব্লকের বাসিন্দাসহ তার আশপাশ এলাকায় গড়ে ওঠা আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা চরম আতংকের মধ্যে পড়েছে। ডাকাতের হামলার রাতে মহব্বত হোসেন বিশেষ প্রয়োজনে যশোরের বাইরে অবস্থান করছিল বলে জানাগেছে। এ ব্যাপারে যশোর কোতয়লি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এ কে এম সফিকুল ইসলামের সরকারী মুঠো ফোনে সন্ধ্যা ৭ টা ৪৫ মিনিটে ফোন করে ডাকাতির চেষ্টার ব্যাপারে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিংবা পুলিশের ভূমিকার ব্যাপারে জানার জন্য ফোন করলে তারা রিসিভ না করায় জানা সম্ভব হয়নি।