ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় সাংবাদিক মাসুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ঘটনায় বিএফইউজের নিন্দা-প্রতিবাদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক সোজাসাপটা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবু সাউদ মাসুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। নেতৃবৃন্দ ।অবিলম্বে সাংবাদিক মাসুদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী কালো আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন এক বিবৃতিতে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার পরও দুর্ভাগ্যজনকভাবে এর অপব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না। বরং অপকর্মের বিরুদ্ধে সমালোচনা ঠেকাতে ক্ষমতাসীনরা যে এ কালো আইনকে ব্রক্ষ্মাস্ত্র বানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জের ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে শামীম ওসমানকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ৮ ডিসেম্বর রাতে দৈনিক সোজাসাপটা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আবু সাউদ মাসুদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় মামলা দায়ের করে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) হাফিজুর রহমান। এ মামলায় প্রথমে হাইকোর্ট থেকে ২ সপ্তাহের জামিন পান আবু সাউদ মাসুদ। পরবর্তীতে চার্জশিট প্রদানের পূর্বপর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। বুধবার আদালতে চার্জশিট প্রদান করে পুলিশ। পরবর্তীতে বিবাদীর আইনজীবী আদালতে টাইম পিটিশন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে আবু সাউদ মাসুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সাংবাদিকের কোন প্রতিবেদন নিয়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তার প্রতিকার পেতে প্রেস কাউন্সিলের শরণাপন্ন হতে পারেন। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা না করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন কালাকানুনে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিককে হয়রানি স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য চরম হুমকি। আরো দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিকদের হয়রানি না করার বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বার বার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হলেও তার ন্যূনতম বাস্তবায়ন দৃশ্যমান নেই। যা সাংবাদিক সমাজকে উদ্বিগ্ন করছে।