যৌতুকের পাঁচ লাখ টাকার জন্য গৃহবধূকে দু’দফা নির্যাতনের অভিযোগে যশোরে মামলা

যাশোর প্রতিনিধি
যৌতুকের পাঁচ লাখ টাকার জন্য গৃহবধূকে দু’ দফা নির্যাতনের অভিযোগে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আদালতের আদেশে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেন শহরের ৫৫৫,পূর্ব বারান্দীপাড়া,বটতলার হাসানুতুল হকের মেয়ে উম্মুল হাসানা মোহনা। মামলায় আসামী করেন,বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার  রশিদপুর বালুয়াহাট গ্রামের মোসলেম উদ্দীন আকন্দর ছেলে অফিসার,ট্রেড অপারেশনস,ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড,হেড অফিস ২২০/সি অনিক টাওয়ার ( লেভেন-২,তেজগাঁ, শি/ এ তেজগাঁও,গুলশান লিংক রোড, ঢাকার আরমান হাবীব।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,বাদি স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ইন টেক্সাটাইল-এ অধ্যায়নরত।বাদির সাথে আসামী আরমান হাবীবের গত ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর ৩লাখ টাকা দেন মোহরে শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়।বিয়ের পর আরমান হাবীব তার স্ত্রী বাদিকে ঢাকা গুলশান এ বর্নিত ভাড়া বাসায় সংসার করবার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় এবং সংসার করাকালীন আরমান হাবীব বাদির নিকট ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকে।বাদি আসামীকে যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় বাদিকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করেও বাদি সংসার করতে থাকলেও গত ২৫ এপ্রিল রাত ১১ টায় বাদিকে তার স্বামী আরমান হাবীব ঢাকাস্থ মামুন ভিলা,নূরের চালা,গুলশান-১ ভাটারা থানা এলাকার ভাড়া বাসায় পুনরায় বাদির কাছে যৌতুকের ৫ লাখ টাকা দাবি করলে বাদি দিতে অস্বীকার করায় ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে বাদির  বাম হাতে, গাড়ে,ফিটে,মাথার পূর্বপাশে আঘাত করে।বাদি চুপচাপ মার খেয়ে তাহার পিতা,মাতার নিকট সব জানায়। তখন পিতা মাতা ঢাকায় যেয়ে বাদির ভাড়া বাসা থেকে ২৬ এপ্রিল রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বাদিকে যশোর পিতা মাতার বাড়িতে এনে জামাতা আরমান হাবীবকে সংবাদ দিলে গত ২৮ এপ্রিল জামাতা আরমান হাবীব যশোর বাদির পিতার বাড়িতে এসে তার পূর্বের দাবীকৃত যৌতুকের ৫লাখ টাকা দাবী করে। বাদি দিতে অস্বীকার করলে বাদির চুল ধরে স্বামী আরমান হাবীব মাটিতে ফেলে কিল ঘুসি,চড়,লাথি মারতে থাকে। বাদির পিতা মাতা তীব্র প্রতিবাদ করলে আসামী দ্রুত ঘটনাস্থান ত্যাগ করে চলে যায়। পরে বাদির অবস্থা খারায় হওয়ায় ২৯ এপ্রিল বাদিকে  যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে বাদি সুস্থ্য হয়ে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। ফলে বাদি বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে আদালতের আদেশে কোতয়ালি থানা কর্তৃপক্ষ মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেন।  এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যৌতুক লোভী আরমান হাবীবকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।#