যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নার্সেস এ্যাসোসিয়েশনের তোলা চাঁদার টাকা কোথায় ?

যশোর প্রতিনিধি  
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নার্সেস এ্যাসোসিয়েশনের নামে বছর বছর চাঁদা আদায়ের অর্থের কোন হদিস মিলছেনা। অর্থলোভী কতিপয় সেবিকারা নির্বাচন ছাড়া নার্সেস এ্যাসোসিয়েশনের নামে যুগযুগ ধরে ( অবসর কিংবা বদলী হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ) কমিটিতে নেতৃত্বর দেওয়ার জন্য স্থান করে রশিদ ছাড়া চাঁদা আদায়ের অর্থ অবাধে খরচ করায় এই হাসপাতালে কর্মরত প্রায় আড়াইশ’ সেবিকাদের অধিকাংশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য নির্বাচনের বিকল্প ছাড়া তারা কিছুই ভাবছেনা বলে খবর পাওয়া গেছে।
যশোর হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ ও স্টাফ নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বর্তমানে এখানে নার্সেস এ্যাসোসিয়েশনের নামে কতিপয় অর্থলোভী সিনিয়র স্টাফ নার্স তহমিনা সব সময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য নির্বাচন ছাড়া নার্সেস এ্যাসোসিয়েশন নিজস্ব ও পকেট কমিটি গঠন করেন। কমিটি গঠন করার পর যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সিলেকশন হন তারা জাতীয় ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালনের টার্গেট নিয়ে অত্র হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ ও স্টাফ নার্সদের কাছে মাথা পিছু কখনও ১শ’ টাকা হারে আবার কখনও ২শ’ টাকা হারে চাঁদা আদায় করেন। কমিটির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটিতে যারা দায়িত্ব পালন করেন তাদের মধ্যে মাত্র কয়েকজন বিভিন্ন কৌশল নিয়ে চাঁদার টাকা তাদের ইচ্ছা মাফিক খরচ করেন। আদায় আদায় ও খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে কমিটিতে কোন রেজুলেশন খাতা নেই কিংবা চাঁদা আদায়ের কোন রশিদ দেন না। অত্র হাসপাতালে নার্সেস এ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে যারা নার্সেস এ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের কোন নাম কিংবা রেজুলেশন কাগজ কলম এমনটি খাতা নথি পর্যন্ত নেই। বর্তমান কমিটির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ যারা দায়িত্ব পালন করছেন তারা ইতিপূর্বে কমিটিতে কারা দায়িত্ব পালন করে গেছেন তেমন কোন নীতিমালা সম্বলিত কোন কাগজপত্রের বিষয় তারা কিছুই বলতে পারছেন না। ফলে নার্সেস এ্যাসোসিয়শের নামে যারা দায়িত্ব পালন করে গেছেন আসলে তাদের উদ্দেশ্য ছিল চাঁদা তোলো আর সুবিধা মতো খরচ করো এমন কথা শুনা গেছে কর্মরত সেবিকাদের মাঝে। সূত্রগুলো বলেছেন,বর্তমানে নিজেরা নিজেরা বসে পকেট কমিটিতে যারা স্থান করে নিয়েছেন তারা এবার কমিটির পরিধি বৃদ্ধি করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট করেছেন। যারা নির্বাচন চাই তাদেরকে ঠান্ডা করতে ও কৌশল নিয়ে নার্সেস এ্যাসোসিয়েশনের এবার কমিটির সদস্য করেছেন যাতে করে তারা মুখ বন্ধ করে রাখেন। সূত্রগুলো আরো জানিয়েছেন,গত বছরের ২০২২ সালের শেষের দিকে নার্সেস এ্যাসোসিয়েশন নামে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে যে কমিটি গঠন হয়েছেন, সেই কমিটিতে পূর্বের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদগুলো তাদের দখলে শুধু মাত্র লোক দেখানো মাত্র সভাপতি করা হয়েছে একজন পুরুষ ব্রাদার ( সেবিকাকে)। যার নাম শোনা গেছে মোফাজ্জেল। তিনি কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন ঠিকই তিনি কমিটির কার্যক্রম নিয়ে সন্দিহান। তার কারণ কমিটিতে কে কোন দায়িত্ব পালন করছেন সে ব্যাপাারে তিনি কোন কিছুই বলতে পারছেন না। অপর একটি সূত্র বলেছেন, মাস কয়েক পূর্বে সারাদেশের সেবিকাদের পোশাক নিয়ে একটি আন্দোলন ঢাকায় জোট বাঁধে। ওই জোটের অজুহাতে অত্র হাসপাতালের নার্সেস এ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে সভাপতি তার মনোনিত সেবিকার মাধ্যমে কর্মরত সেবিকাদের কাছ থেকে মাথা পিছু ১শ’ টাক্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#