ফরিদপুর প্রতিনিধি: কারাগারে থাকা এক আসামি পাঁচ ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় তার ছেলের জানাজায় অংশ নিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পৌর এলাকার বাঁকাইল ঈদগাহ ময়দানে ছেলের জানাজায় অংশ নেন তিনি। জানাজা শেষে আবার তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।
প্যারোলে মুক্তি পাওয়া ওই আসামি হলেন আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাঁকাইল গ্রামের বিশ্বাসপাড়া মহল্লার বাসিন্দা সালাউদ্দিন বিশ্বাস। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাকে মোট পাঁচ ঘণ্টা প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়।
সালাউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আশরাফুজ্জামান বৃহস্পতিবার কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে গাছচাপায় নিহত হন।
জানা গেছে, সালাউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আশরাফুজ্জামান পেশায় চা বিক্রেতা। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও আলফাডাঙ্গা সদর বাজার থেকে চা বিক্রি শেষে দুপুরে খাবার খেতে বাড়ি যায়। বিকাল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে দোকানে আসার পথে বাঁকাইল পাগলের আশ্রম সংলগ্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে। এ সময় তার ওপর রাস্তার গাছ ভেঙে পড়লে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ফরিদপুরে পৌঁছানোর আগেই কানাইপুর বাজারে রাতে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তার বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। বাবা সালাউদ্দিন বিশ্বাস বর্তমানে একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। এ কারণে প্যারোলে ৫ ঘণ্টার (১১টা থেকে ৪টা) জন্য মুক্তি দিয়ে তাকে ছেলের জানাজায় আনা হয়েছিল। জানাজা শেষে জেলা পুলিশ ফোর্সের মাধ্যমে তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা পৌর মেয়র মো. আলী আকসাদ ঝন্টু বলেন, ছেলেটির মৃত্যু বড়ই বেদনাদায়ক। তার বড় ভাই বছরখানেক আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আবার বাবা একটি মামলায় জেলহাজতে রয়েছে। আমি জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে প্যারোলে ৫ ঘণ্টার জন্য মুক্তি নিয়ে কারাগার থেকে নিহত ছেলের জানাজায় বাবাকে আনার ব্যবস্থা করেছি। অসহায় পরিবারটির পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি। দুপুর আড়াইটায় বাঁকাইল ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
