যশোরে সনাতন সম্প্রদায়ের যুবক কর্তৃক   মুসলিম শিশু অপহরনের অভিযোগে মামলা

যশোর প্রতিনিধি 
মুসলিম পরিবারের শিশু ফারজানা খাতুন (১৪) কে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার এক পর্যায় প্রকাশ্যে সনাতন সম্প্রদায়ের যুবক ফুসলিয়ে অপহরনের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ২২ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিন মামলাটি করেছেন, শিশুটির মাতা যশোর শহরের পূর্ব বারান্দী নাথপাড়া (চাঁন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া) মাসুদ হোসেনের স্ত্রী মাছুদা খাতুন। মামলায় আসামী করেন, যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর (বাজারের পাশে হাফিজের বাড়ির ভাড়াটিয়া) গোবিন্দ দাসের ছেলে জীবন দাস। পুলিশ জীবন দাসকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। শিশুটির ২২ ধারার জবানবন্দি আদালতে সম্পন্ন করা হয়েছে।
শিশুটির মাতা মাছুদা খাতুন মামলায় উল্লেখ করেন,তার শিশু মেয়ে ফারজানা খাতুন ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর পরবর্তীতে পড়াশোনা বন্ধ করে দেয় এবং নিজ বাড়িতে মায়ের সাথে সাংসারিক কাজে সহায়তা করতো। গত অনুমান ৪/৫ মাস পূর্বে আসামী জীবন দাসের সাথে বাদির মেয়ের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে জীবন দাস বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাদির নাবালিকা মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বাদির মেয়ের সাথে জীবন দাস প্রায়ই সময় মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতো। গত ১৯ এপ্রিল বিকেল অনুমান ৩ টার সময় বাদির মেয়ে বাজারে কেনাকাটা করার জন্য বাড়ি হতে বের হলে উক্ত জীবন দাসসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা বাদির নাবালিকা মেয়েকে শহরের দড়াটানা মোড়ে মুজিব সড়কের সামনে পৌছালে জোর পূর্বক ফুসলিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদি তার মেয়ের সন্ধান না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বাদি তার মেয়েকে না পেয়ে বাড়ির পাশের সিয়াম নামে একটি ছেলে বাদিকে জানায় যে, উক্ত জীবন দাসসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন আসামী বাদির মেয়েকে জোর পূর্বক শহরের মুজিব সড়ক থেকে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর বাদি থানায় এসে মামলা করলে পুলিশ ২২ এপ্রিল জীবন দাসকে তার বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করে। শিশু ফারজানা খাতুনকে উদ্ধার করে। পরে জীবন দাসকে শনিবার ২২ এপ্রিল আদালতে সোপর্দ করে ও শিশু ফারজানা খাতুনকে আদালতে সোপর্দ করে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহন করেন।#