ওপারে পাড়ি জমালেন যশোরের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুকুমার দাস

যশোর প্রতিনিধি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোর জেলা সভাপতি এবং যশোরের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সুকুমার দাস পরলোকগমন করছেন। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল যশোরের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে বুধবার রাত ৯.৩০ মিনিটের দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ছেষট্টি বছর। সুকুমার দাসকে গত ৫ এপ্রিল হৃদরোগের কারণে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল যশোরে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে হার্টে একটি রিং পরানো হয়। ৯ এপ্রিল যশোরে নিজ বাড়িতে ফেরেন সুকুমার দাস। বুধবার রাতে ফের অসুস্থতা বোধ করলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সুকুমার দাসের মৃত্যুর খবর শুনে রাতেই হাসপাতালে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার এবং যশোরের সর্বস্তরের মানুষ।
এদিকে সুকুমার দাসের মরদেহ বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে মুনশি মেহেরুল্লাহ ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে নেয়া হলে এক শোকাভিভূত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মঞ্চে সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের শিল্পীরা খালি গলায় অশ্রুস্বজল চোখে গাইতে থাকেন ‘এ জীবন পূন্য করো দহন দানে/আগুণের পরশ মনি ছোঁয়াও প্রাণে’। জীবদ্দশায় এমন গানে জীবনে বহুবার নেতৃত্বে দিয়েছেন সুকুমার দাস অথচ আজ তিনিই এই গানের উপজীব্য। সুকুমার দাসের প্রতি এ সময় শেষ শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি, সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা প্রশাসক যশোর তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, প্রেসক্লাব যশোর নেতৃবৃন্দ, দৈনিক লোকসমাজ, বিবর্তন যশোর, বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শেষে সুকুমার দাসের মরদেহ শহরের নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।