যশোরে মাংশ ব্যবসায়ীর কাছে চেয়ারম্যানের চাঁদাদাবির অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি 
যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর রুপদিয়া বাজারে মেহেদী হাসান (২৪) নামে কে মাংশ ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদার দাবিতে মারপিট এবং টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ (২৪) সহ ১৩জনের নামে কোতয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। লিখিত ওই অভিযোগটি দিয়েছেন, মেহেদী হাসানের মা খালেদা বেগম (৫৫)।
অভিযুক্তরা হলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জিরাট গ্রামের মৃত কাউছার ড্রাইভারের ছেলে রাজু আহমেদ, একই গ্রামের নুর আলীর ছেলে ফিংগে শামীম (৩২), নরেন্দ্রপুর পশ্চিমপাড়ার রাকিব (২৭), পরিতোষ দাসের ছেলে উজ্জল দাস (৩৫), জিরাট গ্রামের হিরু বাদামওয়ালার ছেলে টুটুল (২০), গোপালপুর গ্রামের আজিজারের ছেলে পিন্টু (২৫), নরেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার দফাদার আনুর ছেলে বট্টু (৩৮), শাখাঁরীগাতি গ্রামের শহিদুল (৩২), চাউলিয়া গ্রামের হাশেম মোয়াজ্জেমের ছেলে মোর্তজা (২৮), রাকিব (২৭), সোহরাব গাজীর ছেলে সাগর গাজী (২৬), ছিলুমবাড়িয়া গ্রামের লিমন (২৮), নরেন্দ্রপুরের লৎফর শেখের ছেলে শেখ রানা (২৮) এবং মুনসেফপুর গ্রামের আল-আমিন (২২)।
অভিযোগপত্রে খালেদা বেগম উল্লেখ করেছেন, তার ছেলের রাজ্জাক মাংশ ভান্ডার নামে রুপদিয়া বাজারে একটি দোকান আছে। চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ তাকে জানায় রুপদিয়া বাজারে ব্যবসা করতে হলে তাকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। ব্যবসা করার জন্য মেহেদী হাসান ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু তারপরও বাকি টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে। গত মঙ্গলবাররাত ৮টার দিকে আসামিরা চাঁদার বাকি টাকার জন্য তার দোকানে গিয়ে চাপ দিতে থাকে। মেহেদী হাসান টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারপিট করা হয়। তাকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় তার কাছে থাকা ২ লাখ ২০ হাজার টাক ছিনিয়ে নেয়। বাকি সন্ত্রাসীরা তাকে লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিটে আহত করে। এ সসময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা আরো দুই লাখ টাকা একদিনের মধ্যে পরিশোধ করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে মেহেদী হাসানকে যশোরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার রাতে রুপদিয়া বাজারে একটি মারামারির ঘটনা শুনেছি। একজন মাংশ বিক্রেতা জখম হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলে জানি। এই ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হয়েছে কি না জানি না। থানা থেকেও আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।’
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান রাজুর মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও যোগাযোগ করা সম্ভাব হয়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল আলম বলেন, ‘ভুক্তভোগীর স্বজনরা অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে মামলা রেকর্ড করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’#