যাশোর প্রতিনিধি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইসমাইল হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীকে হলে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহপাঠীদের দাবি ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে প্রায় পাঁচ ঘন্টা আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করা হয় ওই শিক্ষার্থীকে। সন্ধ্যার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয় এবং রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুরুতর অবস্থায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতিত ইসমাইল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউট্রিশন এন্ড ফুড টেকনোলজি (এনএফটি) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের অনাবাসিক ছাত্র।
ইসমাইলের সহপাঠীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সালমান এম রহমান ও শোয়েব দুপুর ২টার দিকে ইসমাইলকে ডেকে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৫২৮ নং রুমে নিয়ে যায়। এরপর ২টা থেকে ইফতারের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত স্টাম্প দিয়ে মারধর করে। এক শিক্ষার্থী বিষয়টি জানার পর আরো কয়েকজনকে কৌশলে ইসমাইলকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে হাসপাতালে আনার চেষ্টা করলে বাধা দেয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় অচেতন অবস্থায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইসমাইলের সহপাঠীদের দাবি, পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তবে কি কারণে চাঁদা দাবি করা হয়েছে তা তারা জানাতে পারেননি।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হাসিবুর রহমান জানান, ইসমাইলের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেয়া হয়েছে সেগুলো দেখার পরে পরবর্তী চিকিৎসা দেয়া হবে। তবে তিনি শংকামুক্ত।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনা জানার পর আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি মশিউর রহমানের হলের৫২৮ নম্বর কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে। একইসাথে ওই কক্ষের শিক্ষার্থীদেরকে সাময়িক বরখাস্ত নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিক্ষার্থী অভিযোগ দিলে মামলা করতে সহায়তা করা হবে এবং অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে।