আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক : গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস সপ্তাহের ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭ জনের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
একটি ফেসবুক বার্তায় মিসোটাকিস এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের গ্রিসে… দুটি ট্রেন ভিন্ন নির্দেশনায় একই লাইনে চলতে পারে না এবং কেউ নোটিশ দেয়নি।
এদিকে এ ঘটনায় কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। খবর বিবিসির।
রবিবার রাজধানী এথেন্সে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
১২ হাজার লোক বিক্ষোভে অংশ নেয় বলে পুলিশের ধারণা।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিক্ষোভে সাত কর্মকর্তা আহত হয়েছেন এবং পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কিছু বিক্ষোভকারী ময়লার ঝুড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছুড়ে জবাব দেয়। এর পর কয়েক মিনিটের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের কেন্দ্রীয় সিনটাগমা স্কোয়ার পরিষ্কার হয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীরা মৃতদের স্মরণে আকাশে শত শত কালো বেলুন ছেড়েছিল বলে জানা গেছে, কিছু চিহ্নসহ এতে লেখা ছিল, ‘হত্যাকারী সরকার নিপাত যাক’।
২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন এবং একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে, যা বিপরীত দিকে যাচ্ছিল এবং একই লাইনে চলছিল।
দুর্ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের প্রথম চারটি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং প্রথম দুটিতে আগুন লেগে প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
লারিসার একজন ৫৯ বছর বয়সী স্টেশন মাস্টার, যার বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল, রবিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয় এবং তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তার আইনজীবী স্টেফানোস প্যান্টারজিডিস বলেন, ‘স্টেশন মাস্টার দুর্ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ১০ বছর এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হবে।’
কিন্তু গ্রিসে অনেকেই এই দুর্ঘটনাটিকে একটি দুর্ঘটনা হিসেবে দেখেন যা ঘটার জন্য অপেক্ষা করছিল এবং রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন এই ‘দুঃখজনক পরিণতির’ জন্য গ্রিক রেলওয়ের প্রতি সরকারের ক্রমাগত ‘অসম্মান’কে দায়ী করেছে।
সরকারের একজন মন্ত্রী বিবিসিকে বলেছেন, অর্থায়নের অভাব ছিল ২০১০ সালের ঋণ সংকটের পর আন্তর্জাতিক বেলআউটের কঠোর শর্তের সরাসরি ফল।