বিশেষ প্রতিনিধি
শহরের গাড়ী রোডে প্রকাশ্যে সেতু (২০) নামে এক যুবককে কিশোর গ্যাং কর্তৃক ছুরিকাঘাতের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ডিবি পুলিশ রাকিব (২০) নামে এক সন্ত্রাসী যুবককে গ্রেফতার করেছে। এসময় তার দেখানো মতে ধারালো দু’টি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করেছে। সে যশোর শহরের লোন অফিস পাড়া আজহারুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া আলমাসের ছেলে। সেতুকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তার বড় বোন মোছাঃ প্রত্যাশা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার ২ মার্চ বিকেলে কোতয়ালি মডেল থানায় কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্যর নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামীরা হচ্ছে,যশোর শহরের লোন অফিসপাড়ার আলমাসের ছেলে রাকিব,শহরের খড়কী (কলাবাগান) এলাকার সাকলাইন,চাঁচড়া রায়পাড়া কয়লাপট্টির আরিফ,ঘোপ ডিআইজি রোডের সাব্বির ও শহরের কাঠেরপুল এলাকার হাসিনার বাড়ির ভাড়াটিয়া রনির ছেলে হৃদয় ওরফে ছোট হৃদয়সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন। আটক রাকিবকে শুক্রবার ৩ মার্চ বিকেলে আদালতে সোপর্দ করলে সে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপন কুমার সরকার জানান,গত ১৬ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শহরের গাড়ীখানা রোডে মসজিদ গলি ন্যাশনাল ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা উপশহর সি ব্লকের কামারুজ্জামানের ছেলে সেতুকে তার প্রতিপক্ষ গ্রুপের কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা ধাওয়া করে ঢাকা বিরানী হাউজের সামনে ফেলে উপর্যুপরি চাকু মেরে রক্তাক্ত জখম করে। সে সময় একজন ট্রাফিক পুলিশ ধাওয়া করলে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সেতুকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেতুকে চাকু মারার ঘটন্ াস্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে এবং নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়। এই ঘটনা সংক্রান্তে সেতুর বড় বোনবাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। চাকু মারার ঘটনা চাঞ্চল্যকর হওয়ায় পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার এর নির্দেশে মাঠে নামে ডিবি ও থানা পুলিশ। ডিবি’র ওসি রুপন কুমার সরকার এর তত্বাবধানে এসআই মফিজুল ইসলাম নেতৃত্বে ডিবি ও থানা পুলিশ ২ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাতে শহরের কাঠেরপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী রাকিবকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেখানো মতে শহরের ঘোপ পিলুখান রোডে ইটের স্তুপে রাখা ঘটনায় ব্যবহৃত চাকুসহ আরো একটি চাকু উদ্ধার করে। ঘটনার জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। রাকিবের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি জানতে পারেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুর্ব শত্রুতার জেরে ১৬ ফেব্রুয়ারী বিকেলে সেতুকে গাড়ী খানা রোডে পেয়ে তার প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাং এর সদস্য গ্রেফতারকৃত রাকিব ও তার সহযোগীরা ধাওয়া করে রাস্তায় ফেলে উপর্যুপরি চাকু মেরে সেতুকে রক্তাক্ত জখম করে। ওই সময় পথচারী ও ট্রাফিক পুলিশ সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে সেতুকে রক্তাক্ত করে আসামীরা পালিয়ে যায়। ডিবি পুলিশ আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত রাকিবের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে শহরের খালদার রোডে মুন্না হত্যার আসামী রাকিব। রাকিবকে শুক্রবার ৩ মার্চ বিকেলে যশোর আদালতে সোপর্দ করলে সে সেতুকে চাকু মারার ঘটনা স্বেচ্ছায় করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।#