বেহাল দশা চৌগাছার ধুলিয়ানী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের

চৌগাছা অফিস : ঘড়ির কাটায় সকাল ১০ টা। আব্দুল মান্নান (৬০) গিয়েছিলেন যশোর চৌগাছা উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ডাক্তার দেখাতে। কিন্তু সেখানে দেখা মেলেনি কারও। সেটি তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। সরকারি ভাবে সকাল সাড়ে ৮ টায় অফিসে আসার নির্দেশ থাকলেও এখানে বর্তব্যরতরা তা মানতে নারাজ। বেলা ১১ টার আগে এ সেবা প্রতিষ্ঠানের তাঁলা খোলার নজির নেই। অবশেষে চিকিৎসা সেবা না নিয়েই ফিরতে হয় বৃদ্ধ আব্দুল মান্নানকে। অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকায় বিঘ্নিত হচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা।

ভুক্তভোগিদের বলছেন, সরকার সাধারণ মানুষের দোড়গোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেয়ার অঙ্গিকার করলেও কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতার কারণে তা ভেস্তে যেতে বসেছে। এখানে গর্ভবতী মায়েদের ডেলিভারী করার সুযোগ সুবিধা থাকলেও তা কাজে লাগানো হচ্ছে না। কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং সঠিক তদারকির অভাবে রুগ্নদশা স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির। চিকিৎসা সেবা না দিয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ওষুধ নিজেরাই হজম করছে বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীর।

বুধবার সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরের অবস্থার সাথে ভেতরের অবস্থার কোন মিল নেই। স্টাফ কোয়াটারে বসেছে মাদকসেবীদের আড্ডা। কেন্দ্রের ভেতরের অবস্থা খুবই নাজুক। রোগীদের বসার কোন ভালো চেয়ারটেবিল নেই। বেলা ১২ টায় নিজ কক্ষে চিন্তায় ঘুম দিচ্ছেন পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা সালমা খাতুন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে খেয়াল খুশি মতো ডাক্তার রোগী দেখেন। কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের আসা-যাওয়ার কোনো নিদৃষ্ট সময় নেই। বিনামূল্য ওষুধ পাইনা কেউ। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার তন্মী বিশ্বাস ও পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা সালমা খাতুন কোয়াটার ও পরিতক্ত জমি সরোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির জিম্মায় দিয়ে ভাড়া আদায় করছেন। সরকারি ভবনে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে জুয়া ও মাদক সিন্ডিকেট চালাচ্ছে ওই সরোয়ার হোসেন।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার তন্মী বিশ্বাসের অফিসিয়াল নাম্বারে ফোন দিলে জাননো হয়, ম্যাডাম বাইরে আছেন। পরে ফোন করতে।