যশোর প্রতিনিধি
গতকাল (১৪ ফেব্রুয়ারি )যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় চতুর্থ সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে এক হাজার ৮৩১ জন গ্রাজুয়েট অংশগ্রহণ করছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অতিথি হয়ে আসবেন দুই হাজার ৬১ জন।
যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে গতকাল সোমবার ৮৭তম (বিশেষ) রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সমাবর্তন সম্পর্কিত কার্যক্রমের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম একাডেমিক কাউন্সিল থেকে সমাবর্তন সংক্রান্ত কার্যক্রমের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রিজেন্ট বোর্ডে উপস্থাপন করা হয়।
যবিপ্রবির চতুর্থ সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আব্দুল হামিদের পক্ষে সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমীর সেক্রেটারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হাসিনা খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।এবারের সমাবর্তনে বিভিন্ন শ্রেণিতে ৫৭ জন স্বর্ণপদক ও অ্যাওয়ার্ড পাবেন। এরমধ্যে প্রত্যেক অনুষদে ডিস্টিংশনসহ সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পাবেন। এ শ্রেণিতে এবারের সমাবর্তনে ২২ জন গ্রাজুয়েট চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পাচ্ছেন। প্রত্যেক অনুষদের অধীনে প্রতিটি বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পাবেন। এ শ্রেণিতে এবার অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন ২৬ জন গ্রাজুয়েট। তবে যে বিভাগের যে শিক্ষার্থী চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পেয়েছেন ঐ শিক্ষার্থী এবং ঐ বিভাগ ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হন না। প্রত্যেক বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ডিন অ্যাওয়ার্ড পাবেন। এ শ্রেণিতে এবার ৯ জন গ্রাজুয়েট ডিন অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন।
গ্রাজুয়েটবৃন্দ সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁদের সমাবর্তন গাউন ও উপহার সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবেন। যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলার পরীক্ষার নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে ‘না দাবি সনদ’ এবং গাউন জমার ‘রসিদ’ নির্ধারিত বুথে জমাদান পূর্বক মূল সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে করতে বৃহস্পতি ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঐ দুই দিন সকল বিভাগ ও দপ্তরের দাপ্তরিক কার্যক্রম যথারীতি পরিচালিত হবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়িসমূহ নির্দিষ্ট রুট অনুযায়ী চলাচল করবে। গ্রাজুয়েটবৃন্দের সুবিধার্থে যশোর শহরস্থ পালবাড়ি মোড়-ক্যাম্পাস পর্যন্ত বাস শিডিউল অনুযায়ী যাতায়াত করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে পরিবহন সূচির বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
সফলভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবন, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে বাহারি ফুলের পসরা সাজানো হয়েছে। ২০১৮ সালের পর চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নবীন-প্রবীন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় মুখরিত হবে বিশ্বদ্যিালয় প্রাঙ্গণ। #