পুলিশ পরিচয়ে একাধিক নারীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ, ব্ল্যাকমেইল করতো রুবেল পিবিআই

যশোর প্রতিনিধি: পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে একাধিক নারীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ এরপর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করতো রুবেল হোসেন নামে এক তরুণ। এছাড়া ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ ও টাকা আদায় করতো।

এমন সব অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর চারটার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা থানার হাড়িয়া বেলের মাঠ গ্রাম থেকে অভিযুক্ত রুবেল হোসেনকে আটক করে পুলিশ। পরে এক ভুক্তভোগীর বাবার করা মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুবেল রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার আসকরপুর (সারদা) গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের ছেলে।
শনিবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পিবিআই জানায়, গ্রেপ্তার রুবেল হোসেন নিজেকে কখনও পুলিশ সদস্য, আবার কখনও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নারীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পরে ওই নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে সেটির ভিডিও ধারণ করতেন। আর সেই ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন।
এমন এক ভুক্তভোগী নারীর বাবা গত বৃহস্পতিবার যশোরের পিবিআইয়ের কাছে একটি অভিযোগ করেন। এরপর পিবিআই বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযোগটি অনুসন্ধানে নামে। পরে অনুসন্ধানে পিবিআই জানতে পারে, অভিযুক্ত রুবেল নিজেকে পুলিশের এএসআই পরিচয় দিয়ে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে ওই নারীর বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে রুবেল তার পরিচিতের বাসায় নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। ওই ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ এবং ওই নারীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নেয়।
পিবিআই জানায়, ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে রুবেলের বিরুদ্ধে যশোরের কোতওয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় মো. রুবেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তরের সময়ে তার কাছ থেকে একটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। পরে তাকে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসুর আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।