চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে নাচোল উপজেলা বিএনপির গণসংযোগ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউপির দোগাছিতে
নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে নাচোল উপজেলা বিএনপির গণসংযোগ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউপির দোগাছিতেছবি: সংগৃহীত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনের উপনির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে মাঠে নেমেছে নাচোল উপজেলা বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করে লিফলেট বিতরণ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। আজ শুক্রবারও বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করবেন তাঁরা।
বিএনপির সংসদ সদস্যের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনে মোট পাঁচজন ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী সরকার রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। আরেকজন হলেন গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খুরশিদ আলম। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের ফুলকুঁড়ি মোড়, দোগাছি ও হাটবাকইল এলাকায় উপনির্বাচন বর্জনে আহ্বান জানিয়ে গণসংযোগ করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিএনপির ১০ দফা সংবলিত লিফলেটও বিতরণ করা হয়। এর আগে গত বুধবার নাচোল পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করা হয়।
বিএনপির দুই সাবেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থনের অভিযোগ
নাচোল উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু তাহের প্রথম আলোকে বলেন, গণসংযোগকালে তাঁরা মানুষকে বলছেন এই উপনির্বাচনে ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন বা এই অল্প সময়ে এলাকায় বড় কোনো উন্নয়নের সম্ভাবনাও নেই। তা ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও যদি এ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়, তবে জনগণের ওপর ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন আরও জেঁকে বসবে। এর থেকে মুক্তি পেতে বিএনপির নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর আহ্বান জানানো হয়।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান ইমতিয়াজ, বিএনপি কর্মী আতাউর রহমান, মো. আইনাল, মো. জেম প্রমুখ।
জেলা বিএনপির নেতারা অভিযোগ তুলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও আপেল প্রতীকের প্রার্থী রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারকে গোপনে সমর্থন করছেন এই আসনেরই বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক যুবলীগ নেতা আপেল প্রতীকের প্রার্থী সামিউল হককে গোপনে সমর্থন দিচ্ছেন ওই আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ। গত বুধবার বিকেলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচিতে একাধিক বক্তা এ অভিযোগ করেন।
মোহাম্মদ আলী মাঠে, চিন্তিত নেতা-কর্মীরা
অবশ্য সমর্থনের অভিযোগ অস্বীকার করে হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘যাঁরা এমন অভিযোগ তুলছেন, তাঁরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে তলেতলে সমর্থন করছে। আমি নির্বাচন নিয়ে নীরবই আছি।