যশোরে বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ

যশোর প্রতিনিধি: যশোরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, বর্তমান কতৃত্ববাদী অবৈধ সরকারের পতন ধ্বনী বেজে গেছে। তাদের আর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই। বিক্ষুদ্ধ জনগণ অচিরেই তাদের ক্ষমতাচ্যুত করে ছাড়বে। জনগণ বিএনপির ওপর আস্থা রেখেছে, জনগণের সেই আস্থার প্রতিফলন ঘটিয়ে কতৃত্ববাদী সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাল্লাহ।
গতকাল বুধাবার (২৫ জানুয়ারি) গণতন্ত্র হত্যা দিবসে উপলক্ষে জেলা বিএনপি আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দলটির কেন্দ্র ঘোষিত ১০ দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নির্ধারিত সময় বেলা ৩টায় সমাবেশ শুরুর আগেই সংগঠনের জেলা শাখার অধীনস্থ সকল ইউনিটের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে যোগ দেন। সমাবেশে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন,হাজার চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগের চরিত্র পাল্টানো যায় না। তারা সদস্য স্বাধীন দেশে যে অনিয়ম ও গণতান্ত্রিক ভাবে তাদের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিল আজও ৫২ বছর পরে এসেও তারা সেই অনিয়মের মধ্যেই রয়ে গেছে। সেদিন তারা অনিয়মের মধ্য দিয়ে প্রথম সংসদ অধিবেশনের শুরু করেছিল। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পদলিত করে বাকশাল কায়েম করেছিল। মুখে প্রতিনিয়ত গণতন্ত্রের কথা বলে, বরাবরই গণতন্ত্র করেছে । পাকিস্তানি শাসকদের অত্যাচার নির্যাতনের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে মুক্ত ভাবে বেঁচে থাকার যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন নিয়ে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের সেই চেতনাকে বারবার পদদলিত করেছে। আজকে নাম মাত্র স্বাধীন দেশের নাগরিকরা পরাধীনতার শৃঙ্খল জীবন যাপন করছে। তারা সেদিন বাকশালের মধ্য দিয়ে দেশে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার পাশাপাশি , জনগণের কথা বলার স্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে রোধ করেছিলেন। এমনকি আওয়ামী লীগ নামক রাজনৈতিক দলটি বিলুপ্ত হয়েছিল বাকশালের মধ্য দিয়ে। কিন্তু পরবর্তীকালে সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে আসিন হয়ে বাকশালকে হটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক করার সুযোগ দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মূল্যবোধ থাকলে আজীবন শহীদ জিয়াউর রহমানকে আওয়ামী লীগের পুর্নজনক হিসেবে মুল্যায়ন করা উচিত।
তিনি বলেন, কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের সকল জনগণ হৃদয় দিয়ে গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধারণ করে। আমরা জনগণের সেই চেতনার প্রতি সম্মান রেখে গত এক যুগের অধিক সময় ধরে রাজপথে আছি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে। যে কোন মুল্যে হোক আমরা গণতন্ত্রকে পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করে ছাড়বো। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন,সদস্য মিজানুর রহমান খাঁন, মারুফুল ইসলাম, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু,মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন,কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু হাসান জহির, চৌগাছা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম চ ল, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পদিকা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম, জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর প্রমুখ। সমাবেশে পরিচালনা করেন নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম ও সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক