চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছায় মাদক ব্যবসায়িদের প্রাইভটে কার চাপায় সুফিয়া বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের হাজরাখানা গ্রামের নওয়াব আলীর স্ত্রী। দূর্ঘটনায় সিংহঝুলি ইউনিয়ন পরষিদের এক নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য আল আমনি (৪৫), প্রাইভটে চালক ও ফুলসারা ইউনিয়নের বারুইহাটি গ্রামের আশাদুল ইসলাম ওরফে ট্যাংরা (৩৮) ও বলিদাপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলাম (৩৬) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি কার হয়েছে।
বৃহস্পতবিার (১২জানুয়ারী) বিকাল ৩টার দিকে চৌগাছা-মহশেপুর সড়কের হাজরাখানা পীর বলুহ দেওয়ান দাখিল মাদ্রাসা মোড়ে এই দূর্ঘটনা ঘটে। আহত নাজমুল এবং টেংরা পুলিশের তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ি বলেও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে।
বুন্দলিতলার স্থানীয়রা বলছেন এই গাড়িটি প্রায় প্রতিদিনই বুন্দলিতলার উপর দিয়ে খুব দ্রুত চলে যায়। গাড়িতে মাদক পরিবহন করা হয় বলে স্থানীয়রা দাবী করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাজমুলের মালকানাধীন লাল রঙের ঢাকা মেট্টো-ক (০৩-৬৮৮৪) প্রাইভেটকারটি মহেশপুর থেকে চৌগাছার দিকে আসার পথে দ্রুত গতির কারনে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা একটি (রেইন্টি) কড়ইগাছে মেরেদিয়ে গাছের পাশে বসে থাকা সুফিয়া বেগমকে (৬০) চাপা দিয়ে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে ওই বৃদ্ধাসহ প্রাইভেটকার আরোহী তিনজন মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুফিয়া বেগমের মৃত্যু হয়।
আশরাফ ওরফে ট্যাংরা ও নাজমুলকে প্রাথমকি চিকিৎসা দেয়ার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এছাড়া ইউপি সদস্য আলামনিকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আল-আমীনের বাম হাতের দুস্থানে ভেঙ্গেছে এবং মাথায় জখম হয়েছে, ট্যাংরার জ্ঞান ফেরেনি এবং সুফয়িা খাতুনের লাশ চৌগাছা হাসপাতালের লাশ ঘরে রাখাছিলো।
চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এবষিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।