বিএনপি জামায়াতের ৬৯ নেতা কর্মী নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা

পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরে ছাত্রলীগের মিছিলে হামলা ও দলীয় কার্যালয় থেকে ককটেল উদ্ধারের অভিযোগে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ৬৯ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইন মামলা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় মামলাটি করেন।
এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনকে প্রধান আসামি, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আবদুর রব ও সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবদুল হালিমকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে পিরোজপুর শহরে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের কালেক্টরেট স্কুলের সামনের সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে এসে হামলা করা হয়। এতে ছাত্রলীগের ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। এরপর আসামিরা ঘটনাস্থলে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আবার বিএনপির কার্যালয়ে চলে যান।
খবর পেয়ে থানা–পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল, বিস্ফোরিত দুটি ককটেলের অংশবিশেষ, চারটি পাইপ ও পাঁচটি বাঁশের লাঠি জব্দ করে। ওই সময় পুলিশ বিএনপির ১১ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। বিএনপির কার্যালয় থেকে চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল, পাইপ ও বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ ম মাসুদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আটক ১১ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ছাত্রলীগ তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে বলে দাবি করেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, গতকাল গণমিছিল উপলক্ষে বিএনপির নেতা–কর্মীরা দলের জেলা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা করে ভাঙচুর করেন। এতে বিএনপির ২৫ নেতা-কর্মী আহত হন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পিরোজপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি গণমিছিল বের হওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় পুলিশ বাধা দেয়।
মিছিল বের করতে না পেরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। এরপর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদের নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে ক্রিকেট খেলছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালান। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩৩ জন আহত হন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইন্দুরকানি উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলমগীর কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান আল মামুনসহ ১১ জনকে আটক করে।