যশোর প্রতিনিধি
যশোরের চুড়ামনকাটির চাঞ্চল্যকর আলম হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে হাসান আল মামুন নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটক মামুন যশোর সদর উপজেলার দৌলতদিহী গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে। আলম কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের শামসুদ্দিন মন্ডলের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যশোরে বসবাস করছিলেন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর আলমকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন কোতোয়ালি থানার এসআই সালাউদ্দিন।
ঘটনার পরপরই আটক করা হয় চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের ছেলে রক্সি ও চুরামনকাটির এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মানিক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই সালাউদ্দিন জানান, এঘটনার পর ওই এলাকার বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ফুটেজে আসামিদের সাথে তাকে দেখা যায়।এছাড়া আসামির আদালতে দেয়া জবানবন্দি ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মামুনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে। মামুনকে রোববার রেলগেট রায়পাড়াথেকে আটক করে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামিরা হলেন, ছাতিয়ানতলার মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান রুনু শহিদের ছেলে সুমন হোসেন, কুঠিপাড়ার উসমানের ছেলে মাহমুদুর হাসান মামুন, মন্ডলপাড়ার জালালের ছেলে সাদ, বাগডাঙ্গার মজনুর ছেলে ইকরাম হোসেন, শ্যামনগরের আষাড়ের ছেলে বাদল, মধ্যপাড়ার সৈয়দ আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম, চুরামনকাটির মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে রানা।