যশোরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আসাদুজ্জামান হত্যা মামলায় সাত জনের নামে মামলা গ্রহণের নির্দেশ

যশোর প্রতিনিধি
যশোরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ হত্যার ঘটনায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ‘হত্যা মামলা’ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল এক আদেশে কোতোয়ালি থানার ওসিকে এ নির্দেশ দেন।
আসাদুজ্জামান আসাদ যশোর শহরের বেজপাড়া বনানী রোডের আহম্মদ আলী মিয়ার ছেলে।তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা ছিলেন।
আসামিরা হলেন- যশোর শহরের বেজপাড়া মাঠপাড়া এলাকার কাসেমের ছেলে হাসান ওরফে খাবড়ি হাসান, বেজপাড়া বনানী রোডের আক্কাচের ছেলে চঞ্চল, খোকনের ছেলে আকাশ, শহরের রায়পাড়া এলাকার বিপ্লব, বেজপাড়া এলাকার লিপন ওরফে বস্তা লিপন, আয়ুব আলীর ছেলে সুমন, শহরের বেজপাড়া বনানী রোড এলাকার বিশ্বজিৎ মুখার্জির ছেলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত মুখার্জি ওরফে উৎপল মুখার্জি ওরফে কানাই লাল কানু।
বৃহস্পতিবার বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ বলেন, শহরের বেজপাড়া বনানী রোড এলাকার বিশ্বজিৎ মুখার্জির ছেলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত মুখার্জি ওরফে উৎপল মুখার্জি ওরফে কানাই লাল কানুর ঘুষ দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উচ্চ আদালতে রিট করেন ভিকটিম আসাদুজ্জামান আসাদ। আদালত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দেন।
এ ঘটনার পর আসামি ইন্দ্রজিত মুখার্জি ক্ষুব্ধ হয়ে বাকি আসামিদের দিয়ে ভিকটিমকে হত্যাচেষ্টা করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। প্রথমে চারজনের বিরুদ্ধে হত্যাপ্রচেষ্টা মামলা হয়। আদালত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত মুখার্জিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা গ্রহণের জন্য কোতয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের ৮ নভেম্বর শহরের বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ে নুরুন্নাহার হোমিও হলের সামনে যান আসাদুজ্জামান আসাদ। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা বার্মিজ চাকু দিয়ে আসাদুজ্জামান আসাদের বুকে আঘাত করেন। মাটিতে পড়ে গেলে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পরদিন আদালতে চারজনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়। পরে ২১ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।