যশোর প্রতিনিধি
আজ বৃহৎস্পতিবার যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে আসার জন্য ১২ টি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। যত্রতত্র কিংবা বাইলেন ব্যবহার করে সভাস্থলে আসা যাবে না। নির্দিষ্ট ড্রপিং পয়েন্ট থেকে নির্দিষ্ট রুট দিয়েই আসতে হবে নেতাকর্মী সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের। এছাড়া সুশৃঙ্খল উপস্থিতির জন্য স্টেডিয়ামের নির্দিষ্ট ৩টি গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। আর বিশাল গণ জমায়েতের জন্য বাস প্রাইভেট মাইক্রো মিলিয়ে ৫ হাজারের উপরে যানবাহন আসার সম্ভাবনায় আরো ১০টি পার্কিং পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। মন্ত্রী এমপি ভিআইপিদের জন্য আগের নির্ধারিত পার্কিং পয়েন্টই প্রস্তুত থাকবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকেই মাঠে প্রবেশ করা যাবে। রাস্তায় শৃঙ্খলা, শান্তিপূর্ণ ও পরিছন্ন পার্কিং কার্যক্রম তদারকি করবে ট্রাফিক বিভাগ।
আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পর যশোরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তাকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি ও কর্মযজ্ঞ শেষ। দলীয় ফোরামে এবং প্রশাসনে চলছে এখন শেষ সময়ের সর্বোচ্চ সতর্কতা। তাকে এক নজর দেখতে এবং কথা শুনতে অধীর আগ্রহে থাকা খুলনা বিভাগের ১০ জেলার গণ মানুষ সভাস্থলে আসতেও নিয়েছেন প্রস্তুতি। যশোরে সভাস্থল সজ্জার কাজ প্রায় শেষ।
কাল সভায় যোগ দিতে যশোর শহরের ড্রপিং পয়েন্ট থেকে পায়ে হেঁটে সভাস্থলে আসতে হবে। মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা থেকে আসা বাস প্রাইভেট মাইক্রোগুলো ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড অথবা কাঁঠালতলায় নেতাকর্মী সমর্থকদের ড্রপিং করবে। ধর্মতলা থেকে কারবালা গ্যারেজ মোড় আপন মোড় হয়ে স্টেডিয়ামের অফিস গেট দিয়ে সভায় প্রবেশ করবে। আর কাঁঠাল তলা থেকে কাজীপাড়া হয়ে চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড বাজার হয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ গেট হয়ে ঢুকবে। ওই ৪ জেলার লোকজন ঘোপ নওয়াপাড়া রোড ও সেন্ট্রাল রোডে ড্রপ নিয়ে পায়ে হেঁটে হাসপাতাল মোড় হয়ে দড়াটানা পার হয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাশ দিয়ে মুসলিম একাডেমি পার হয়ে পুরাতন পুলিশ অফিস হয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ গেট দিয়ে ঢুকবে। ওই ৪ জেলার গাড়ি ছুটিপুর রাস্তায় জামতলা পর্যন্ত রাস্তা ছাড়াও ঘোষপাড়া মসজিদ মাঠ, কাঁঠালতলা ঈদগাহ, নান্টু মিয়ার বাগান, হাউজিং মাঠ ও বাবলাতলা মাইক্রো স্ট্যান্ড ব্যবহার করতে পারবে। চৌগাছা উপজেলার নেতা কর্মীরাও একই রুট ও পার্কিং এবং ড্রপিং নিতে করতে পারবে। মাগুরা ও বাঘারপাড়া থেকে আসা যান বাহনগুলো উপশহর এলাকায় ড্রপিং করবে। নেতা কর্মী সমর্থকদের নামিয়ে দিয়ে উপশহর এলাকায় পার্কিং করবে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে জেল রোড হয়ে দড়াটানা পার হয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাশ দিয়ে মুসলিম একাডেমি পার হয়ে পুরাতন পুলিশ অফিস হয়ে আবদুর রাজ্জাক কলেজ গেট দিয়ে ঢুকবে।
সাতক্ষীরা বেনাপোল শার্শা ঝিকরগাছা থেকে আসা নেতাকর্মী ভক্ত সমর্থকরা চাঁচড়া মোড়ে ড্রপিং নিয়ে মুজিব সড়ক হয়ে জজকোর্ট মোড় দিয়ে মুসলিম একডেমি পার হয়ে পুরাতন পুলিশ অফিস হয়ে ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক কলেজ গেট দিয়ে ঢুকবে। গাড়ি পার্কিং করবে সার গোডাউন, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর বিএডিসি, আদ দ্বীন মেডিকের কলেজ মাঠ। মণিরামপুর কেশবপুর থানা এলাকা থেকে আসা লোকজন ওই একই রুট এবং গেট ব্যবহার করবে। এছাড়া মণিরামপুর কেশবপুর থেকে আসা নেতা কর্মীরা বাস টার্মিনালে পার্কিং করবে। এরপর সরকারি মুরগির খামার, আশ্রম রোড হয়ে রাসেল চত্তর থেকে সার্কিট হাউজ, জজকোর্ট মোড় হয়ে মুসলিম একাডেমি পার হয়ে পুরাতন পুলিশ অফিসের পাশ দিয়ে রাজ্জাক কলেজ গেট ব্যবহার করবে। সাতক্ষীরা বেনাপোল শার্শা ঝিকরগাছা থেকে আসা নেতাকর্মী ভক্ত সমর্থকরা পৌরসভার গেট হয়েও মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন।
বাগেরহাট খুলনা জেলা ও অভয়নগর উপজেলা থেকে আসা যানবাহনগুলো মণিহারের সামনে নেতাকর্মীদের ড্রপ করে দেবে এবং মণিহার এলাকা থেকে মুড়লির ওই একই রাস্তায় পার্কিং করবে। আর পায়ে হেঁটে আর এন রোড হয়ে দড়াটানা পার হয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাশ দিয়ে মুসলিম একাডেমি পার হয়ে পুরাতন পুলিশ অফিস হয়ে রাজ্জাক কলেজ গেট দিয়ে ঢুকবে।
গোপালগঞ্জ ও নড়াইলের নেতা কর্মীদের বহন করে নিয়ে আসা বাস, প্রাইভেট মাইক্রোসহ অন্য ভার্সনের যানবাহনগুলো মণিহারের সামনে ড্রপিং করবে। এছাড়া পার্কিং করতে হবে যশোর সরকারি সিটি কলেজ মাঠ, উপজেলা পরিষদ ও মণিহার বাস টার্মিনাল। নেতা কর্মীরা পায়ে হেঁটে আর এন রোড হয়ে দড়াটানা পার হয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাশ দিয়ে মুসলিম একাডেমি পার হয়ে পুরাতন পুলিশ অফিস হয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ গেট দিয়ে ঢুকবে।
আর আগের নির্ধারিত জায়গাতেই মন্ত্রী এমপি ভিআইপিরা পার্কিং করবেন এবং সুবিধামত সভার গেট ব্যবহা করবেন। প্রতিমন্ত্রীদের গাড়ি যশোর বাদশা ফয়সল ইন্সটিটিউট, পূর্ণমন্ত্রীদের গাড়ি মুসলিম একাডেমি স্কুল মাঠে পার্কিং করবেন। এছাড়া আগত পূর্ণ মন্ত্রীগনের গাড়ি এমএম কলেজের দক্ষিন গেট দিয়ে প্রবেশ করিয়ে কলেজ মাঠে পার্কিং করতে পারবেন। গাড়ি রেখে তারা স্টেডিয়ামের পেছনের এমএম কলেজের গেট দিয়ে হয়ে সভাস্থলে যেতে পারবেন। এমপিদের গাড়ির জন্য যশোর টাউন হল মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া যশোর শহরের দক্ষিণা ল থেকে আসা ভিআইপিদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য যশোর জেলা স্কুল মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ এটাই চুড়ান্ত নির্ধারিত পার্কিং ড্রপিং পয়েন্ট। এছাড়া ১২টি রুট ও ৩টি গেট চুড়ান্ত করা হয়েছে। ট্রাফিক বিভাগ ও জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অংগ সংগঠনের নির্দিষ্ট নেতাকর্মী বিশেষ সমন্বয় সভা করে এসব সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করেছে।
এ ব্যাপারে যশোর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শুভেন্দু কুমার মুন্সী জানিয়েছেন, সভাস্থলে আসার জন্য নির্দিষ্ট ১২ টি রুট নির্ধারন করা হয়েছে। কাল জনসভার দিন শহরে কোনো যানবাহন প্রবেশ করবে না। শহরের অংশ পায়ে হেটেই যেতে হবে। এর আগে গাড়ি পাকিংয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে ১০টি পার্কিং এলাকা নির্ধারণ করা হলেও পরে আরো ১০ পার্কিং পয়েন্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। লোক উপস্থিতি সম্ভবনার উপর গাড়ির ধারণা করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের টার্গেট অনুযায়ী ৫ হাজার গাড়ি হয়ে যেতে পারে। সে হিসেবেই ওই ২০ টি পার্কিং এলাকা চুড়ান্ত করা হয়েছে।