যশোর প্রতিনিধি
যশোরে আরএফএল গ্রুপের বিক্রয় প্রতিনিধি প্রতুল মন্ডলকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় ও মারপিটের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী প্রতুল মন্ডল এই ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি দিয়েছেন। পুলিশ এই মামলার এক নারী আসামি কুলসুম বেগমকে আটক করেছে। আটক কুলসুম বেগম সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মান্দারতলার ইব্রাহিম মোল্যার মেয়ে।
এই মামলার পলাতক অন্য আসামিরা হলো, যশোর শহরের নীলগঞ্জ এলাকার সুমাইয়া সুমি খান, জিসান, আরিয়ান ও রবি।
বাদী মামলায় বলেছেন, বাদী প্রতুল মন্ডল আরএফএল গ্রুপে সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ (এসআর) পদে চাকরি করেন। আসামি কুলসুম বেগমের সাথে বাদীর মোবাইল ফোনে পরিচয়। আসামি কুলসুম তাকে ধর্ম ভাই বলে সম্বোধন করেন। এরপর বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে প্রতুলের কাছ থেকে টাকা আদায় করিতো। ২২ নভেম্বর মোবাইল ফোনে আসামি কুলসুম বাদীকে জানায় তার শ্বামী খুব অসুস্থ্য হাসপাতালে নিতে হবে। কিন্তু টাকা নাই। আর এমন কোন আত্মীয় নেই যে এই মুহুর্তে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করবে। এরপর প্রতুল মন্ডল ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আসামি কুলসুমের বাড়িতে যান। সেখানে যাওয়ার পরে দেখেন অন্য আসামিরা বসে আছে। সেখানে যাওয়ার পরে আসামি সুমাইয়া সুমি খানের ঘরের মধ্যে নিয়ে জোর করে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে অন্য আসামিরা। এরপর ওই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আরো টাকা দাবি করে আসামিরা। এরপর প্রতুলের ভগ্নিপতি উজ্জল মন্ডলের কাছ থেকে বিকাশে ১৫ হাজার ও সুজন নামে আরেকজনের কাছ থেকে ১০ হাজারসহ ২৫ হাজার টাকা চাঁদা হিসেবে আদায় করে। এতেও খ্যান্ত হয়নি আরো টাকা দাবিতে তাকে আটকে রেখে মারপিট করে। পরে প্রতুলের ভগ্নিপতি বিষয়টি জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে জানায়। ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুলসুম বেগমকে আটক করে অন্যরা পালিয়ে চলে যায়। গতকাল বুধবার আটক কুলসুমকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।