যশোর প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে ধোপাদী এসএস কলেজের অধ্যক্ষ এসএম শহিদুল ইসলামের ভুলের কারণে এক পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার শিকার আসমা খাতুন উপজেলার আলীপুর গ্রামের আসাদুল হকের মেয়ে ও ধাপাদী এসএস কলেজের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে কলেজের বারান্দায় অধ্যক্ষের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বড় ভাইয়ের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।
শনিবার বিকালে শিক্ষার্থী আসমা খাতুন বলেন, ২০২০ সালে অভয়নগরের রাজটেক্সটাইল মিল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে আমি এসএসসি পাশ করি। এরপর ধোপাদী এসএস কলেজে ২০২০-২০২১ শিক্ষবর্ষে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হই। নির্বাচনী পরীক্ষাসহ কলেজের সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। এইচএসসি পরীক্ষা অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণসহ কলেজের যাবতীয় ফিস পরিশোধ করি। গত সাতদিন আগে আমার সহপাঠীরা প্রবেশপত্র হাতে পেলেও আমি পাইনি। সেই থেকে অধ্যক্ষ স্যারকে ফোন করলে তিনি বলেন, ঢাকায় এসেছি ফিরেই তোমার প্রবেশপত্র বাড়ি পৌঁছে দেব। শুক্রবার সকালে ফোন করলে তিনি একই কথা বলেন।’
আসমা খাতুন আরও বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার দুপুরে আমাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বড়ভাই রবিউল ইসলাম কলেজে আসেন। এসময় অধ্যক্ষ স্যার এলোমেলো কথা বলতে শুরু করেন। অধ্যক্ষের কাছে প্রবেশপত্র না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি আমার ভাইয়ের উপর চড়াও হন এবং এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অধ্যক্ষের ভুলের কারণে আমার শিক্ষা জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে ধোপাদী এসএস কলেজের অধ্যক্ষ এসএম শহিদুল ইসলাম এক অভিভাবকের সঙ্গে হাতাহাতির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আসমা খাতুন ভর্তি হওয়ার পর আর কলেজে আসেনি। ভর্তির সময় সাবজেক্টও চয়েস করেনি। আমার ভুল নয়, তার ভুলের জন্য ২০২০ সালে রেজিস্ট্রেশন হয়নি। ২০২১ সালে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। এখন সে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। প্রবেশপত্র বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রশ্ন এড়িয়ে অধ্যক্ষ বলেন, আসমা খাতুনের পীড়াপীড়িতে তার ফরম পূরণের অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।’#