বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর শহরের বাবু বাজারের এক নং গলি,ঝালাইপট্টি ও পুরাতন পৌরসভার সামনে হরিজন পল্লীতে অবাধে চোলাই মদ বেচাকেনার অভিযোগ উঠেছে। অথচ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ও পুলিশের কর্মকর্তা এবং সদস্যরা দায়িত্ব পালন করলেও বন্ধ হচ্ছে না মাদক বেচাকেনা।
শহরের বড় বাজার সূত্রে জানাগেছে,যশোর শহরের বাবু বাজার পতিতালয়ের এক নং গলির পতিতা সুমি ও তার কথিত স্বামী আনারুল অবাধে চোলাইমদ বেচাকেনা করছে। আনারুলের কথিত স্ত্রী পতিতা সুমি পতিতালয়ে ৩টি ঘর ভাড়া নিয়ে ২টিতে চোলাইমদ বেচাকেনা করছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাতে পর্যন্ত সে চোলাইমদ বেচাকেনা করছে। অথচ যশোর কোতয়ালি মডেল থানা ও সদর পুলিশ ফাঁড়ী এই পতিতালয় থেকে মাত্র কয়েশ’ গজ দূরে অবস্থিত। সূত্রগুলো আরো জানিয়েছেন, বাবু বাজার পতিতালয়ের পতিতা সুমি ও আনারুল কতিপয় পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় ক সার্কেলের কর্মকর্তা ও সদস্যদের সাথে চুক্তি করে অবৈধভাবে মাদক বেচাকেনা করায় ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছেন। সূত্রগুলো আরো জানিয়েছেন,বাবু বাজার পতিতালয়ের কাছে ঝালাইপট্টি এলাকার জনৈক কামারের দোকানে সন্ধ্যারপর তাকুয়া নামে এক হরিজন পল্লীর সদস্য অবাধে চোলাইমদ বেচাকেনা করছে। তাছাড়া,শহরের পুরাতন পৌরসভার সামনে এমকে রোডস্থ হরিজন পল্লীতে নয়ন,রাজু,ডাবলু,সবুজসহ ৬/৭জন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চোলাইমদ বেচাকেনা করছে। হরিজন পল্লীর সদস্যরা চোলাইমদ অবৈধভাবে সংগ্রহ করে বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে অবাধে বিক্রি করছে। হরিজন পল্লীর সদস্যদের মদ বিক্রির কোন লাইসেন্স কিংবা সেবনের কোন লাইসেন্স নেই। তারা লাইসেন্স বিহীন চোলাইমদ বেচাকেনা করায় হরিজন পল্লীর আশপাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শ্রেনীর ব্যবসায়ীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। অপর একটি সূত্র বলেছে,হরিজন পল্লীর বাসিন্দারা যশোর পৌরসভার অধীনে শহরের বিভিন্ন সড়কগুলো পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। শহরের ময়লা আর্বজনা অবসারনের দায়িত্ব পালন করা তাদের মূল পেশা। সেই পল্লীতে অবাধে চোলাইমদ বেচাকেনা হওয়ায় সকলের মধ্যে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি করেছেন। যেখানে ইতিপূর্বে মাড়–য়াড়ী মন্দির সংলগ্ন পতিতালয়, বাবুবাজার পতিতালয় ও হরিজন পল্লী থেকে চোলাইমদ সেবনের পর যশোর এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ এবং ব্যবসায়ী নূরু,বড় মনি,মুন্নাসহ কমপক্ষে ১৫ জন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। যে ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় সেই সময় পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে অর্ধডজ্জন মামলা হয়। উক্ত মামলায় পুলিশ মাড়–য়াড়ী মন্দির সংলগ্ন পতিতালয়ের সামনে চোলাইমদ বেচাকেনার অভিযোগে সেই সময় আবু হাসান,কৃষ্ণ,পিন্টু,সেলিম,রতন, ওলিয়ারসহ ১০জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেন। ওই সময় মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সেই সময় থেকে মাড়–য়াড়ী মন্দির সংলগ্ন পতিতালয়ের সামনে চোলাইমদ বেচাকেনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে এখনও বন্ধ রয়েছে চোলাইমদ বেচাকেনা ও সেবন। বর্তমানে বাবু বাজার পতিতালয়ের ১নং গলি ও ঝালাইপট্টি এলাকা ও পুরাতন পৌরসভার সামনে হরিজন পল্লীতে যে হারে চোলাইমদ বেচাকেনা হচ্ছে যে সময় আবারো বিভিন্ন পেশার মানুষ মৃত্যুর ঢোলে পড়বে এমন আশংকা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য খুলনা রেঞ্জের ডিআইজিসহ পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যশোরের মানুষ।#