বিয়ে করে নানা প্রতারণা করে অসহায় নারীর অর্থ সম্পদ লুটে নেয়ার অভিযোগ

যশোর অফিস: বিয়ে করে নানা প্রতারণা করে এক অসহায় নারীর অর্থ সম্পদ লুটে নেয়ার অভিযোগ

 যশোর সদর উপজেলার ঘুনী শাখারীপাড়ার মনিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণা করে এক অসহায় নারীর অর্থ সম্পদ লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
 শনিবার প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে একই গ্রামের আবু জাফরের কন্যা আসমা আক্তার এ অভিযোগ করেন।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সদর উপজেলার ঘুনী শাখারীপাড়ার মৃত আমিন মিয়ার ছেলে মনিরুল ইসলাম মনির গত ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল তাকে মুসলিম শরিয়া মোতাবেক বিবাহ করেন। এরপর থেকে আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকি। এরই মধ্যে মনির আমাকে নানা কথা বুঝিয়ে সে আমার কাছ থেকে আমার ভাই ও বোনের থাকা ৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ব্যবসা করে নেয়। এসব টাকা আমার তিন ভাই ও তিন বোন বিদেশে থাকাবস্থায় আমার কাছে পাঠান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, স্ত্রী হিসেবে আমি তাকে বিশ্বাস করে এসব টাকা প্রদান করি। এর বাইরেও আমার ২টি জার্সি গরু বিক্রি করে আরও ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করি। এরপর সে খুব দ্রুত পাল্টে যেতে শুরু করে। এমনকি আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতেও অস্বীকার করে। এক পর্যায়ে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার সাথে তার যে বিবাহ হয়েছিলো সেটি ভুয়া কাবিনে।
সংবাদ সম্মেলনে আসমা আক্তার বলেন, প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি আমার পাওনা টাকা তার কাছে চাইতে গেলে সে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণার মামলা করি। এরপরই সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ও আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের ওপর হামলা ও মারপিট করে। এসময়ে মনির ও তার সন্ত্রাসীরা আমার ১২ টি রাজহাস, ১৫ টি পাতি হাসহ আরও অনেক কিছু নিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী মনিরুল ইসলাম এলাকায় খুবই প্রতাপশালী হিসেবে পরিচিত। যেকারণে এলাকার কোনো লোক তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলতে সাহস পাননা। থানা পুলিশের সাথেও তার রয়েছে বিশেষ সখ্যতা। এসব কারণে আমি কারোর কাছে কোনো বিচার পাচ্ছিনা। বর্তমান আমরা গোটা পরিবার চরম অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। #