নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরে নয়াদিল্লিতে এই সমঝোতা স্মারকগুলো সই করা হয়।
সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে—১. বাংলাদেশের সিলেটে কুশিয়ারা নদী থেকে সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের আওতায় ১৫৩ কিউসেক পানি বণ্টনের সমঝোতা; ২. বাংলাদেশের বিসিএসআইআর ও ভারতের সিএসআইআরের মধ্যে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতায় সমঝোতা; ৩. ভারতের ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা; ৪. বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের ভারতীয় রেলওয়ের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণের জন্য দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা; ৫. বাংলাদেশ রেলওয়ের আইটিবিষয়ক সহযোগিতার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা; ৬. বাংলাদেশ টেলিভিশন ও প্রসার ভারতীর মধ্যে সমঝোতা স্মারক এবং ৭. স্পেস টেকনোলজি বা মহাকাশ প্রযুক্তি খাতে সমঝোতা স্মারক।
চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নয়াদিল্লির ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশনে পৌঁছান। সেখানে তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল প্রতিমন্ত্রী দর্শনা ভি জারদোশ এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইমরান।
মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসময় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর দুপুরে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়।