যশোর প্রতিনিধি
গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা মঙ্গলবার ১৬ আগষ্ট রাতে খয়েরতলা বাজারে মোক্তার আলীর চায়ের দোকানে ওসমান রহমান (৬৫)কে গাছী দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। স্থানীয় লোকজন সন্ত্রাসী জাকির হোসেন ওরফে কুন্টেকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। পুলিশ ধারালো গাছী সন্ত্রাসী দেখানো মতে উদ্ধার করেছে। সন্ত্রাসী জাকির হোসেন কুন্টে যশোর সদর উপজেলা নুরপুর মধ্যপাড়ার মৃত আমজাদ বিশ^াস ওরফে পচার ছেলে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে জাকির হোসেন ওরফে কুন্টেসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
নুরপুর মধ্যপাড়ার মৃত লোকমান বিশ^াসের ছেলে লুৎফর রহমান বাদি হয়ে সন্ত্রাসী জাকির হোসেন কুন্টেসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলায় উল্লেখ করেন,আসামীর বাড়ি বাদির বাড়ি একই গ্রামে পাশাপাশি। সেই সুবাদে কুন্টের সাথে বাদির আপন বড় ভাই ওসমান রহমান এর পূর্ব হতে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে গত ১৬ আগষ্ট মঙ্গলবার রাত ৯ টায় ওসমান রহমান খয়েরতলা নামক বাজারে মোক্তার আলী চায়ের দোকানে চা খাওয়ার জন্য যায়। সেখানে চা খাওয়ার এক পর্যায় জাকির হোসেন কুন্টেসহ অজ্ঞাতনামা আসামীর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মোক্তার আলীর চায়ের দোকানে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওসমান রহমানকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। বাদির ভাই গালিগালাজ করার কারণ জানতে চাইলে জাকির হোসেন কোন কথা বার্তা না বলে ওসমান রহমানকে খুন করার উদ্দেশ্যে ধারালো গাছী দা দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারে। উক্ত কোপ ওসমান ডান হাত দিয়ে প্রতিহত করতে চাইলে ডান হাতে কনুইয়ের নীচে এবং পিটের ডান পাশে লেগে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। এক পর্যায় বাদির ভাই প্রানে বাঁচার জন্য ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে সন্ত্রাসী জাকির হোসেন কুন্টেকে আটক করে। তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে থানায় খবর দিলে থানা থেকে পুলিশ এসে জাকির হোসেন কুন্টেকে হেফাজতে গ্রহন করে। কুন্টের দেখানো মতে ধারালো গাছী দা উদ্ধার করে। বুধবার ১৭ আগষ্ট জাকির হোসেন কুন্টেকে আদালতে সোপর্দ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।