দেশকে বিরোধীদলহীন করার জন্য সরকার সন্ত্রাসী বাহিনী ও সরকারি যন্ত্র ব্যবহার করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের আস্থা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। বিরোধীদলহীন একদলীয় শাসনই এই সরকারের টিকে থাকার একমাত্র ভরসা। তাই দেশকে বিরোধীদলহীন করার জন্য সরকার তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও সরকারি যন্ত্রকে লাগামহীনভাবে ব্যবহার করছে।’

বুধবার রাতে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব গত কয়েকদিন ধরে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মারপিট করে আসছে বলে মন্তব্য করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর পরশুরাম পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিসফাকুস সামাদ রনির ওপর হামলা এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই বলেই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী আধিপত্য বজায় রাখতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের রক্তে হাত রঞ্জিত করছে, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘরে প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, মারধর তারই নির্মম ধারাবাহিকতা।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন মোকাবেলার লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকলকে এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্তৃত্ববাদী একদলীয় শাসনের অবসান ঘটাতে হবে। নইলে এদেশ থেকে দুর্দিন কখনো দূরীভূত হবে না।’
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে ফেনীর পরশুরামে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটকারী ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।