যশোরে ভেজাল দস্তা সার কারবারীরা অপ্রতিরোধ্য

যশোর প্রতিনিধি
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ঢিলেঢালা কর্মকান্ডের কারনে তাদের নাকের ডগায় ইটের সুরকি,চুনসহ বিভিন্ন মাটি বালি আর রংয়ের মিশ্রিত করে তৈরী করা হচ্ছে ভেজাল দস্তাসার। আসন্ন আমন ও  ইরি মৌসুমে বাম্পার বেচাকেনার টার্গেট নিয়ে দিনে রাতে উৎপাদন করা হচ্ছে ভেজাল দস্তাসার। যশোর সদর উপজেলার ৪ নং নওয়াপাড়া ইউনিয়সহ জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিনিয়ত তৈরী হচ্ছে ভেজাল দস্তাসার। প্রশাসনের নজর নেই। যার কারনে ভেজাল দস্তাসার কারখানা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। দিনে কারখানা গুলো বন্ধ রেখে সারারাত উৎপাদন করা হচ্ছে নিন্মমানের দস্তা সার। অধিক মূনাফার আশায় জমির জন্য ক্ষতিকারণ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী করা দস্তাসার দেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে সরবাহের আশায় ভেজাল দস্তা সার কারবারীরা সোচ্চার। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, যশোর নওয়াপাড়া ইউনিয়নে গড়ে ওঠা ভেজাল দস্তাসারের মোকাম হিসেবে কৃষি সম্প্রসারন ও পুলিশের কাছে বেশী পরিচিত। এই ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে এ আর এগ্রো কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রিজ যার মালিক রাজু । বর্তমানে সে কোটিপতি তালিকায় নাম রেখেছেন। ভেজাল দস্তাসার বেচাকেনা করে বিগত ২৫ বছরের অধিক সময় শহরের আরএনরোডে দু’টি আলিশান বাড়ি নির্মান করেছেন। অথচ তিনি দাবি করেন,তার সার কারখানায় উৎপাদনকারী সার বৈধ। তারপরও তার কারখানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অজ্ঞাত কারনে অভিযান না চালালেও র‌্যাব-৬ ও ভ্রাম্যমান আদালত বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করেছেন। রাজু তার কারখানায় উৎপাদনকারী ভেজাল দস্তাসার বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানীর নামক মোড়ক ছাপিয়ে তার উৎপাদনকারী ভেজাল দস্তাসার সার বিক্রির সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। রাজু তার উৎপাদনকারী সার আনা নেওয়ার জন্য নিজস্ব পরিবহন কিনেছেন। রাজু তাল বাড়ী পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত কর্মকর্তাদ্বয় ও সদস্যদের খুশি করে তার ভেজাল দস্তাসার তৈরী করে যাচ্ছেন। এরপর ভেজাল দস্তাসার উৎপাদনকারীর তালিকায় রয়েছেন শহরের জেল রোডের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম। সুফলা এগ্রো কেমিক্যাল নামক সার কারখানায় তৈরী হচ্ছে ভেজাল সার। অথচ তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তার কারখানায় উন্নত ল্যাব রয়েছেন। যা যশোরে কোন দস্তাসার কারখানার মালিকের কাছে নেই। শহিদুল ইসলাম ভেজাল দস্তাসার উৎপাদনের দায়ে এক সময় র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে জরিমানা পর্যন্ত দিয়েছিলেন। যা সাহাপুর এলাকার মানুষের অজানা নয়। রাজু ও শহিদুল ইসলাম তাদের দু’টি ভেজাল সার কারখানায় প্রতিনিয়ত তৈরী করেন ভেজাল দস্তাসারসহ বিভিন্ন কৃষি কাজে ব্যবহৃত মালামাল।  তারা ছাড়া ওই    ইউনিয়নে আর যেসব কারখানা রয়েছে তাদের কোন কাগজপত্র নেই বলে তার দাবি করেছেন। তাদের বৈধ কাগজপত্র ও সার উৎপাদন করার অনুমতি থাকলে কেনই বা তারা তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রতিমাসে অবৈধভাবে অর্থ প্রদান করেন। রাজু ও শহিদুল ইসলামের সার খানায় অভিযান চালালে তাদের ভেজাল কারবারীর মুখোশ উন্মোচন হবে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো দাবি করেছেন। তাছাড়া, আড়পাড়ার জুনায়েতের বাগানে আজিজুর,ঘুরুলিয়াসহ তার আশপাশ এলাকায় চিহ্নিত কয়েকজন ভেজাল দস্তা সার কারবারীরা দিনে রাতে সমানতালে উৎপাদন করে যাচ্ছে ভেজাল দস্তাসার। যা আগামী আমন ও ইরি বোরো মৌসুমে সরবরাহ করতে পারে