ভোলা প্রতিনিধ: পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ও আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন ভোলা সদর হাসপাতালে। ছবি আজ দুপুরে তোলাছবি: প্রথম আলো
ভোলা সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা সদরের মহাজনপট্টিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবিতে বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে এ সংঘর্ষ হয়। নিহত ব্যক্তির নাম মো. আবদুর রহিম। তিনি সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বিএনপির দাবি, পুলিশ অতর্কিতভাবে তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দিয়ে গুলি চালিয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সমাবেশের অনুমতি নিয়ে মিছিল বের করায় পুলিশ বাধা দিলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হয়।
ভোলা জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম খান আজ দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, জেলা সদরের মহাজনপট্টিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলেন দলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ঘটনাস্থলে এসে বাধা দেয় পুলিশ। তাঁরা প্রতিবাদ জানালে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। এরপর দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের ছোড়া গুলিতে তাঁদের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪৫ জন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএনপির সমাবেশ করার অনুমতি ছিল, কিন্তু মিছিলের অনুমতি ছিল না। বিএনপি মিছিল বের করে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তাদের কাছেও অস্ত্র ছিল। আবদুর রহিম নামের লোকটি মারা গেছেন। তবে তিনি কার গুলিতে মারা গেছেন তদন্ত না করে বলা সম্ভব নয়। এ ঘটনায় পুলিশের আট সদস্য আহত হয়েছেন।