চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে লেভেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের যাত্রী চার শিক্ষকসহ ১১ আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবারের এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে খৈয়াছড়া রেলক্রসের গেটম্যান মো. সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
মীরসরাই রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রেলক্রসিং এলাকা থেকে সাদ্দামকে আটক করা হয়।
ওসি বলেন, গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে বড়তাকিয়া রেল স্টেশনের উত্তরে খৈয়াছড়ি ঝরনার পাশে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতদের নাম তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অরক্ষিত রেল ক্রসিং দিয়ে মাইক্রোবাসটি যাওয়ার সময় ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ট্রেনটি মাইক্রোবাসটিকে প্রায় এক কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, মাইক্রোবাসে ১৪ জন আরোহী ছিলেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডের দুটি ইউনিট উদ্ধারকাজ শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ১২ জনকে। এদের মধ্যে ১১ জন নিহত, একজন আহত ছিলেন।
আহত ব্যক্তিকে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানীয় হাসাপাতালে পাঠানো হয়। মাইক্রোবাসের আরোহীদের মধ্যে দুজন সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী জানান, মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি বড়তাকিয়া ক্রস করার সময় লাইনে উঠে যায় মাইক্রোবাস। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি কিছু দূর চলে যায়। লেভেলক্রসিংয়ের বাঁশ ঠেলে মাইক্রোবাস লাইনে উঠলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
