মাধঘোপা নিউজ ডেস: দেশে গত এক দশকের হিসাব অনুযায়ী বৃদ্ধি পেয়েছে মুসলিম জনসংখ্যা। ৯০ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশে পৌঁছেছে মুসলিম জনসংখ্যা। তবে সেই সঙ্গে কমেছে অন্যান্য ধর্মের জনসংখ্যার হার। বুধবার জনসংখ্যা ও আবাসন শুমারি-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হিন্দু জনসংখ্যা ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ থেকে কমে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, বৌদ্ধ জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৬২ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ, খ্রিস্টান জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৩১ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য ধর্মের জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ১৪ থেকে কমে শূন্য দশমিক ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। এতে আরও জানানো হয়, মুসলিম জনসংখ্যা ৯০ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশে পৌঁছেছে।
এদিকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারী আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন।
এবারের জনশুমারিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৩০৫ জন। শুমারি অনুযায়ী, ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন মানুষের মধ্যে গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন ১১ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৭ জন। গত ১০ বছরে গ্রামে জনসংখ্যা বেড়েছে দুই কোটি ৫৮ লাখ তিন হাজার ৭৩ জন।
শহর অঞ্চলে বসবাস করেন এমন জনসংখ্যা ৫ কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার ৭২ জন। গত ১০ বছরে শহরে জনসংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৯ জন। এদিকে এবারই প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) সম্প্রদায়কে আদমশুমারিতে আলাদা গণনা করা হয়েছে। দেশে এ সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন ১২ হাজার ৬২৯ জন।
২০০১ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। ১৯৮১ সালে ছিল আট কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন। ১৯৭৪ সালের প্রথম শুমারিতে দেশে জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন।
শুমারির তথ্যানুযায়ী দেশে জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার কমেছে। এবারের শুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২ শতাংশ, যা ২০১১ সালে বৃদ্ধির হার ছিল ১.৪৬ শতাংশ, ২০০১ সালে ছিল ১.৫৮ শতাংশ, ১৯৯১ সালে ছিল ২.০১ শতাংশ, ১৯৮১ সালে ছিল ২.৮৪ শতাংশ। অর্থাৎ শুমারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে।