মাধঘোপা আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য রাশিয়া থেকে তেলগ্যাস আমদানি কাটছাঁট করার কথা ঘোষণা করেছে।
কিন্তু তার পরও ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করার পর থেকে ৩ জুন পর্যন্ত ৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার আয় করেছে ফসিলজাত জ্বালানি থেকে। এর মধ্যে ৬১ শতাংশই আমদানি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
মার্চ মাসে রাশিয়া প্রতিদিন ১০০ কোটি ডলার আয় করছিল, তবে এখন তা কমতে শুরু করেছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া প্রতিদিন প্রায় ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার খরচ করছে বলে অনুমান করা হয়। তাই প্রথম ১০০ দিনে রাশিয়ার তেল-গ্যাস থেকে আয় ছিল যুদ্ধের খরচের চেয়েও বেশি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, রুশ অপরিশোধিত তেল এখন বিপুল পরিমাণে ভারতে পাঠিয়ে পরিশোধন করা হচ্ছে। তার পর তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
ভারতে রুশ অপরিশোধিত তেল রফতানি যুদ্ধ শুরুর সময় থেকে ১৮ গুণ বেড়ে গেছে এবং এই সব ফাঁক-ফোকর বন্ধ করার কথাও বলা হয়েছে সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের রিপোর্টে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর তেলের নতুন নতুন বাজার খুঁজছে এবং এগুলোর চালান যাচ্ছে জাহাজে করে -যেসব জাহাজের মালিক ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি।
ভারত ছাড়াও ফ্রান্স, চীন, আরব আমিরাত ও সৌদি আরব রুশ জ্বালানির আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে।