যশোর প্রতিনিধি
যশোরের খোলাডাঙ্গায় পরকীয়ার কারনে লাভলুকে হত্যা করে ট্রেন লাইনের পাশে ফেলে রেখেছিলো পাষন্ড স্ত্রী। আর এ হত্যার সহযোগিতা করেছেন তার প্রেমিক ও ছেলে। পরে তা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন স্ত্রী। ডিবি পুলিশ লাভলুর স্ত্রীকে হেফাজতে নিয়েছেন। সাথে তার ছেলে সাথিলকেও। কিন্তু পালিয়ে গেছে, জুয়েলার্স ব্যবসায়ী পরকীয়া প্রেমিক। এদিকে,হেফাজতে নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও হত্যার রহস্যের বিষয়ে পুলিশ স্পষ্টভাবে কিছুই বলেননি। পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়,শুক্রবার ১০ জুন সকালে ট্রেন লাইনের পাশ থেকে লাভলুর মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহীনির একাধিক টিম রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। ডিবির ওসি রুপণ কুমার সরকারের নেতৃত্বে একটি টিম তদন্ত শুরু করেন। এসআই মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম শুক্রবার দিনব্যাপী ওই এলাকায় অভিযান চালায়। চলে একের পর এক জিজ্ঞাসাবাদ। এক পর্যায় লাভলুর স্ত্রী ও ছেলেকে তারা হেফাজতে নেন।
এদিকে, ওই এলাকায় যেয়ে লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, লাভলুর স্ত্রীর সাথে এক জুয়েলারী ব্যবসায়ীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। ওই প্রেমিককে কেন্দ্র করে সংসারে অশান্তি চলছিলো। যার কারনে লাভলুকে স্ত্রী ,তার ছেলে ও প্রেমিক পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ ফেরে রেখেছিলো রেল লাইনের পাশে। এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের ওসি রুপণ কুমার সরকার সাংবাদিকদের জানান, তাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য তারা পেয়েছেন। যা এখনি বলা যাচ্ছে না। তবে, স্ত্রী ও ছেলেকে হেফাজতে নেয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে লাভলু কাজ শেষে বাড়িতে গিয়ে গোসল, খাওয়া দাওয়া শেষ করে পাশের একটি চায়ের দোকানে যান। ওই রাতে তার আর খোজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে রেললাইনের পাশে আসাদের আম বাগান থেকে লাভলুর মরদেহ উদ্ধার করা হয় । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাভলুর মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় চাপানো হয় প্রতিপক্ষের ঘাড়ে। এরপর বেরিয়ে আসে পরকীয়ার কাহিনী।
নিহত লাভলু একই এলাকার মধ্যেপাড়া কলোনীর আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি আফিল গ্রুপে ডিমের সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন।