কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মাদক পানে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শনিবার ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তরছাট গোপালপুর গ্রামের মৃত শফি উদ্দিন ব্যাপারীর পুত্র মিজানুর রহমান (৪৫) শুক্রবার সন্ধ্যায় পাগলাহাট বাজারে রাত ৮ টার দিকে সংগী এরশাদ হোসেন (৩২) উপজেলার ৩নং তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্রের সাথে অতিরিক্ত মদ্যপান করে অসুস্থ হলে কুড়িগ্রামে নেয়ার পথে রাত ১২ টায় রাস্তায় তার মৃত্যু ঘটে। অপর ব্যক্তি এরশাদ (৩২) অসুস্থ হয়ে সে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
মাদকপানে মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ভোর তিনটার সময় লাশ উদ্ধার করে শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুড়িগ্রামে প্রেরণ করে। অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) একই গ্রামের ঘাতু মন্ডলের পুত্র শাহজামাল (৫০) নামে অপর এক ব্যক্তি অতিরিক্তি মাদক পানে মৃত্যুবরণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরা তিন জনই পেশায় (মাংস ব্যবসায়ী) কশাই। পাগলাহাট বাজারে এরা মাংশ বিক্রি করতো।
শিলখুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বলেন পরিবারের লোকজন মাদক পানের বিষয়টি অস্বীকার করছে কিন্তু এলাকাবাসী অভিযোগ করছে অতিরিক্ত মদ্য পানেই তার মৃত্যু ঘটেছে। শুধু তাই নয়, এর আগে যিনি মারা গেছেন তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আজাহার আলী জানান, এরা সকলেই মাদকের নেশায় অভ্যস্থ ছিলো। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সন্দেহের কারণে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা হলেই সীমান্তবর্তী এই পাগলাহাট বাজারে মাদকের হাট বসে। দূর দুরান্ত থেকে মাদকসেবীরা এখানে এসে মাদক সেবন করে। তারা জানায় মাদকের সাথে এখানে রং করার কাজে ব্যবহৃত মিথাইল এ্যালকোহল ও হোমিও চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেকটিফাইড এ্যালকোহল সহজলভ্য। তাদের ধারনা এই এ্যালকোহল পান করেই ঐ দু‘ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে।