ইরিয়ান হত্যাকান্ড বাদী ও বিবাদী একে অপরের জব্দ করতে নানা ফন্দি

যশোর প্রতিনিধি
যশোরের সুজলপুরে ইরিয়ান হত্যাকান্ডের পর বাদী ও বিবাদী একে অপরের জব্দ করতে নানা ফন্দি ফিকির করছেন। ২০ মে আধিপত্য দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় জখম হয় সাবিক। এ ঘটনায় আহতের মা আরিফা বেগম বাদী হয়ে ইরিয়ান, সেলিম, নচুয়া, ইমরান, অপু, মতিয়ার গাজী, ফসিয়ার রহমানসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ২১ মে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয় প্রধান আসামী ইরিয়ান।
এরপর ২২ মে রাত ১২ টা ৫ মিনিটে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন ইরিয়ানের বাবা। আসামি করা হয় সুজলপুরের শরিফ, গোলাপ, সাগর, আব্দুস সালাম মিঠু, জাকারিয়া, আনোয়ার  হোসেন, নাহিদ, লাবু, জহুরুল, আতিকুর রহমান , শিহাব, শরিফের ছেলে আল আমিন, আল আমিন-২, ভেকুটিয়ার মনিরুল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলামকে। এছাড়া মামলায় আরো অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
ইরিয়ানের পরিবারের দাবি, মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়া ও আসামিদের নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে বিরোধিতা করায় ইরিয়ানের সাথে বিরোধ বাধে আসামিদের। এরই জের হিসেবে এই খুন বলে নিহতের বাবা খোরশেদ গাজী দাবি করেন। অথচ, ইরিয়ান পক্ষের পাঁচ নম্বর আসামী খোরশেদ গাজীর ছেলে অপু নিজেই মাদক ব্যবসায়ী। ৬ জুন শার্শায় বিজিবির হাতে অপু ৫০০ গ্রাম গাজা ও ২০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক হয়েছেন।
ইরিয়ান হত্যার পর থেকেই আসামীরা পলাতক রয়েছেন। ৭ জুন রাত ১২ টার পরে নিহত ইরিয়ানের বাড়িতে পর পর কয়েকটি বোমা ছোঁড়ে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু ইরিয়ানের পরিবার দাবি করছে ওই বোমা হামলা করেছে আসামীরা।
অপরদিকে, প্রতিপক্ষরা বলছেন তাদের জব্দ করতে নিজেদের বাড়িতে নিজেরা বোমা হামলা করে তাদের ফাঁসাতে চেষ্টা করা হচ্ছে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, দু’পক্ষের অভিযোগের শেষ নেই। তবে যারা অপরাধ করবে তাদের ছাড় দেয়া হবেনা।