মাধঘোপা নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ বলেছেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের উত্থাপিত ছয় দফা দাবি ছিল মুক্তিযুদ্ধের সোপান যার ভিত্তি ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ। আর এই দাবি আদায়ের জন্য ছয় দফা আন্দোলন বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল।’
মঙ্গলবার রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ এ কথা বলেন।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘ছয় দফা দাবির প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। পাকিস্তানি শাসকদের ক্রমাগত শোষণ বাঙালিদের চরম বিক্ষুব্ধ ও হতাশ করে তুলেছিল। বঙ্গবন্ধু জনগণের মনের ভাষা টের পেয়ে ছয় দফা দাবি তুলেছিলেন। ঐতিহাসিক ছয়-দফা দাবি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানের একটি বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, যা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যায়। ছয় দফা আজ পাকিস্তানের শোষণ-অত্যাচার-নিপীড়ন থেকে মুক্তিলাভের জন্য বাংলাদেশের সংগ্রামের দলিল হিসেবে আজ সর্বজনস্বীকৃত, বাঙালির মুক্তির সনদ।’
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, ‘ম্যাগনা কার্টার মতোই ছয় দফা সনদ সারাদেশে ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করেছিল, এটি বাঙালির স্বায়ত্তশাসন ও অধিকারের জন্য সুনির্দিষ্ট দাবি হিসেবে স্বীকৃত ছিল। তৎকালীন পাকিস্তানের কট্টরপন্থী নেতারা একে স্বায়ত্ত্বশাসনের ছায়ায় বিচ্ছিন্নতার দাবি বলে অভিহিত করেছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির সমর্থন জোগাড় করে ছয় দফা আন্দোলনের পক্ষে প্রচারণা চালাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন এবং সফলও হয়েছিলেন, ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনই এর প্রমাণ।