মাধঘোপা নিউজ ডেস্ক: বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। তাদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখাও গর্হিত অপরাধ। এটা মেনে নেওয়া যায় না। গুলশান ক্লাবে খুনি খন্দকার আবদুর রশিদের মেয়েকে যারা চাকরি দিয়েছেন তারা জেনেশুনেই দিয়েছেন। খুনির পরিবাররা গুলশানের মতো জায়গায় রাজত্ব করবে, ব্যবসা-বাণিজ্য করবে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশে গোয়েন্দা সংস্থা আছে। তাদের উচিত বিষয়গুলোকে আরও গভীরে খতিয়ে দেখা। তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা।
বঙ্গবন্ধুর খুনি ও তার পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। তারা যেন কারোর কোনো রকম সুবিধা না নিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রশিদের মেয়ে মেহনাজ রশিদের পাসপোর্টে তথ্য গোপন হলে অবশ্য কারোই তা বোঝার কথা নয়।
শোনা যাচ্ছে, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী গুলশানে মেহনাজ রশিদের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করেন। এটা উদ্বেগজনক। কী এমন সম্পর্ক তাদের সঙ্গে? কীসের এতো দহরম মহরম? এটা জানতে হবে গোয়েন্দা সংস্থাকে। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এই দেশে প্রতিষ্ঠিত হবে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে এটা হতে দেওয়া যাবে না।
সবার মধ্যে দেশপ্রেমের মূল্যবোধ থাকা উচিত। বিএনপিতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ কেউ রাখলে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু যারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে, দেশকে বিপথে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখা চলে না। এটাকে দেশপ্রেম বলে না। যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তাদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পর্ক রাখেন তারা নিজেরা তাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন, দেখুন কী উত্তর পাওয়া যায়। তারা যা করছে এটি যদি ষড়যন্ত্রমূলক কাজ হয় তাহলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সঠিক তদন্ত প্রয়োজন।