যশোরে পৃথক ঘটনায় দুই যুবক খুন

যশোর প্রতিনিধি : যশোরে পৃথক ঘটনায় দুই যুবক খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলার সুজলপুরে ইরিয়ান গাজী (২৫) নামে এক যুবককে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া কৃষ্ণবাটি গ্রামে রাসেল নামে অপর এক যুবককে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশিরা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তার স্বজনদের।

ইরিয়ান গাজীর প্রতিবেশিরা জানান, গতকাল শনিবার দুপুরে ইরিয়ান গাজী ধানের ভ্যান নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় সাকিব নামে এক যুবকের মোটরসাইকেলের সাথে ইরিয়ানের ভ্যানের ধাক্কা লাগে। এত সাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে ইরিয়ানকে মারপিট করে। এরপর ইরিয়ান বাড়ি থেকে চাকু নিয়ে গিয়ে সাকিবকে মারপিট করে। এ ঘটনার পর ইরিয়ানকে মারতে সাকিব তার দলবল নিয়ে চড়াও হয়। ভয়ে ইরিয়ান তার ভাই নসুয়া গাজীকে নিয়ে পাশর্^বর্তী গ্রাম কৃষ্ণবাটিতে বোনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সাকিব ও তার লোকজন অস্ত্র নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে ইরিয়ান বেধড়ক মারপিট ও বিদ্যুৎ শক দিয়ে আহত করে। এরপর তাকে ধরে বাড়ির বাইরে নিয়ে চাকু দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে আহত করে ফেলে রাখে । ইরিয়ানকে আনতে গেলে হামলাকারীরা তাকে দেয়নি। পরে পুলিশ খবর দিয়ে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে রাত ১১টার দিকে ইরিয়ান মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা ন্যায় বিচার দাবি করলেও পুলিশ এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
এদিকে সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামে রাসেল নামে অপর এক যুবককে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশিরা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তার স্বজনদের। আজ সকালে নিজ ঘর থেকে তার ঝুলন্ত পচা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের স্বজনদের দাবি, বাড়ির জমি নিয়ে প্রতিবেশিদের সাথে তাদের বিরোধ চলছিল। প্রায় এ নিয়ে গোলাযোগ হতো এবং প্রতিবেশিরা তাদের খুন জখমের ভয়ভীতি দেখাতো। রাসেলের মা সম্প্রতি তার মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত তিনদন ধরে তার সাথে তার মা-বোনদের কোন যোগাযোগ নেই। আজ সকালে প্রতিবেশি একজন গন্ধ পেয়ে রাসেলের বোনকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ গিয়ে রাসেলের লাশ উদ্ধার করে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন জানান, রাসেলকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তদন্ত করে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাবার বোঝা যাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা। এরপর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।