যশোরের লেবুতলা ইউনিয়নের দুইগ্রাম পুলিশের নামে বিস্তর অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি: যশোরের লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ লুৎফর রহমান ও জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রিসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদের সকল ইউপি সদস্য গ্রাম পুলিশ ও সাধারণ এলাকাবাসী চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এলাকার পরিবেশ ও পরিষদের কর্মকান্ড সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য অভিযুক্ত দুইজন গ্রাম পুলিশের দায়িত্ববান হওয়ার আহবান জানান। সেই সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি, চাদাবাজি, সরকারি সুবিধা দেয়ার নামে টাকা নেয়া বন্ধ করার জোর দাবি তোলেন।
লিখিত অভিযোগটি করেছেন ইউপি সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ, মাহাবুবুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল আলিম, গ্রাম পুলিশ, উত্তম কুমার, মিঠুন দাস, গ্রাম পুলিশ সুবোধ দাস, গ্রাম পুলিশ মিলন দাস, সচেতন নাগরিক মঈন উদ্দিন ময়না, আবু হাসান।
অভিযোগ জানানো হয়, দুইজন গ্রাম পুলিশ লুৎফর রহমান ও জাহিদ হোসেনের জন্য ইউনিয়নের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা পরিষদের কোন দায়িত্ব পালন করেন না। কোন দায়িত্ব ছাড়াই বাইরে গ্রাম পুলিশের পোশাক পরে ঘুরে বেড়ান। গাজা ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরণের নেশা জাতীয় মাদক বিক্রি করছেন। পোশাককে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া না হলে ইউনিয়নের যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গ্রাম পুলিশ জাহিদ হোসেন একজন লোক দেখানো ফল ব্যবসায়ী। লেবুতলা বাজারে ঢাকা সড়কের তার ফলের দোকান রয়েছে। সেখানে মূলত পর্দার আড়ালে মাদকের মাদক বিক্রি করা হয়। গ্রাম পুলিশ লুৎফর রহমান তার প্রধান সহযোগি। সন্ধা হলেই আগরাইল গ্রামের নদীর ধারে গাঁজা বিক্রির আসর বসান গ্রাম পুলিশ লুৎফর রহমান। তাছাড়া এলাকায় চুরি করা, লুট করা, বয়স্ক, বিধবা ও ভিজিএফ চালের কার্ডসহ সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেন লুৎফর রহমান। হালখাতার সময় বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অনৈতিকভাবে টাকা নেন তিনি। দুজনের মূল শক্তি পরিষদের পাশের বাসিন্দা সরকারি চাকুরীজীবী ফরিদুল ইসলাম মধু। মধুরা দুইভাই সরকারি চাকুরীজীবী। মধুর নিয়ন্ত্রণে তারা মূলত এসব অবৈধ কাজগুলো করছেন।
এলাকার সাধারণ নাগরিক শরিফুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান, জসিম উদ্দিন ও রফিকুল ইসলাম জানান, ‘ওই দুজন গ্রাম পুলিশ এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। ওদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তানা হলে লেবুতলা ইউনিয়নে বসবাসের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। সকল প্রকার অপকর্মের সাথে তারা জড়িত।থ
লেবুতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন বলেন, ‘পরিষদের সাধারণ সদস্য, গ্রাম পুলিশসহ বেশ কয়েকজন সচেতন নাগরিক দুথজন গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি দ্রুতই আলোচনা করবো। বিধি মোতাবেক যে ব্যবস্থা নেয়া সেটা নেবো।