যশোর প্রতিনিধি: বেনাপোল স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফর্কলিফ্ট না থাকায় পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চাহিদা মতো ক্রেন ও ফর্কলিফ্টের দাবিতে আগামী ১৭ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক মো. আজিম উদ্দিন গাজী জানান, বেনাপোল বন্দর দেশের মধ্যে বৃহত্তম বন্দর হওয়া সত্ত্বেও এখানে ভারি পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফর্কলিফ্ট নেই। আর যেগুলো আছে তার মধ্যে কয়েকটা ভালো থাকলেও পণ্য খালাস করতে গিয়ে বার বার নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্রেন ও ফর্কলিফ্ট চালকরাও অদক্ষ। এতে বন্দরে আমদানিকৃত ভারি পণ্য খালাস করতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যাচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এ বন্দর থেকে। এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদারকে চিঠি দিয়ে জানালেও তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। বাধ্য হয়ে আগামী ১৭ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বেনাপোল বন্দরে জায়গা না থাকায় প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় ৭ হাজার ট্রাক পণ্য নিয়ে একমাস ধরে ভারতের বনগাঁ কালিতলা পার্কিংয়ে দাড়িয়ে আছে। ট্রাক প্রতি প্রতিদিন ৩ হাজার রুপি লোকসান গুণতে হচ্ছে।
বেনাপোল আমদানি রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বন্দরে জায়গার না পেয়ে আমদানি পণ্যের ট্রাক মাসের পর মাস পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে এসব পণ্য কাঁদা পানির মধ্যে নামাতে হচ্ছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনে সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান বলেন, বন্দরে প্রায় সবগুলো ক্রেন ও ফর্কলিফ্ট অকেজো হয়ে গেছে। যে ক্রেন ও ফর্কলিফ্ট একটু ভালো আছে সেগুলোও বার বার নষ্ট হয়ে যায়। এভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা যায় না।
স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদারকে বলেন, বন্দরের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। তবে এসব শেষ হতে আরো ২ বছর সময় লাগবে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন ক্রেন, ফর্কলিফ্ট কিনতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে ক্রেন ও ফর্কলিফ্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ব্লাক বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মিল্টন খন্দকার জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বর্তমানে অধিক পরিমাণে পিডিপি (বিদ্যুৎ টাওয়ারের মালামাল) অ্যাঙ্গেল আমদানি হচ্ছে। এতে এ টিটিবি অ্যাঙ্গেল ওঠাতে ও নামাতে গিয়ে তাদের বেশ কিছু ক্রেন ও ফর্কলিফ্টেরর যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে। ফলে পণ্য ওঠাতে-নামাতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া এ বন্দরে তাদের ৬টি ক্রেনের মধ্যে ৩টি সচল আছে। ১০টি ফর্কলিফ্টের মধ্যে ৮টি সচল আছে। খুব দ্রুত আরও ২টি ক্রেন আনা হবে।#