যশোর অফিস
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড মর্ডান ক্লিনিকের সামনে হানিফ গাজিকে (৩০) ছুরিকাঘাতে জখমের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আহত হানিফ গাজির পিতা শহরের বারান্দিপাড়া মেঠো পুকুর পাড়ের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান (৮১) রোববার (৮ মে) মামলা করেন। মামলায় একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে শহরতলীর মুড়লি পূর্বপাড়ার গোলাম মোস্তফা (৩০)। পুলিশ গোলাম মোস্তফাকে আটক করে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামি গোলাম মোস্তফার সাথে বাদির ছেলে হানিফ গাজির দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে শত্রুতা চলে আসছে। ৭ মে শনিবার বিকেলে হানিফ গাজি অসুস্থ স্ত্রী লাকী খাতুনকে (২৪) চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতালের সামনে মর্ডান ক্লিনিকে আসে। খাবার পানির প্রয়োজনে স্ত্রীকে ক্লিনিকে বসিয়ে রেখে নীচে পানি সংগ্রহ করতে যায়। পানি নিয়ে ফিরে আসার সময় ঘোপ নওয়াপাড়া রোড মর্ডান ক্লিনিকের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছুলে আসামি গোলাম মোস্তফার হুকুমে অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন আসামি হানিফ গাজির গতি রোধ করে জাপটে ধরে। এরপর হানিফ গাজির বুকে পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতে রক্তাত্ত জখম করে। হামলার সময় গোলাম মোস্তফা হানিফ গাজির প্যান্টের পকেট থেকে ৫ হাজার ৮শ টাকা কেড়ে নেয়। হানিফ গাজির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আসামিরা চলে যায়। তবে যাওয়ার আগে হানিফ গাজিকে পরে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এঘটনায় হানিফ গাজির পিতা আব্দুল মান্নান মামলা করলে পুলিশ ঘটনার পরের দিন ৮ মে রোববার গভীর রাতে মুড়লি পূর্বপাড়া থেকে আসামি গোলাম মোস্তফাকে আটক করে। তাকে সোমবার (৯ মে) আদালতে চালান দেয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আবুল হাসান জানান, আটকের পর আসামি গোলাম মোস্তফা প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করে তিনি ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত।