যশোর অফিস
যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার ভাড়াই চালিত মোটরসাইকেল চালক কায়েম হত্যায় জড়িত দুই অভিযুক্তকে আটক করেছে চৌগাছা থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো, উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মাসুদ রানার ছেলে অন্তর হোসেন লিমন ও নওগাঁ জেলার নওগাঁ উপজেলার শৈলকুপা গ্রামের মোতাহার হোসেনের ছেলে রহিম মন্ডল রায়হান। অন্তরকে মঙ্গলবার রাতে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জে তার খালার বাড়ি থেকে আটক করে চৌগাছা থানা পুলিশ। অপর আসামি রহিমকে মাগুরা শহরের ৭নং ওয়ার্ডে নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেখানো মতে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু ও কাইয়ুমের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বিকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। অতিরিক্তি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ আসামিদের জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে তারা জানান,এই হত্যাকান্ডে তিনজন জড়িত। ওইদুইজন বাদেও সৈয়দপুর গ্রামের আরও একজন রয়েছেন। তিনবন্ধু মাগুরা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে একটি নির্মানাধীন ভবনের রড মিস্ত্রির কাজ করতেন। মুলত ঈদের কেনাকাটার জন্য টাকার প্রয়োজন ছিলো তাদের। সেই টাকার চাহিদা মেটাতে ছিনতাই কিংবা চুরির পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মতো রবিবার রাতে মাগুরা থেকে তারা যশোরে আসে। এরপর যশোরে এসে কায়েমের সাথে যোগাযোগ করে কায়েমের মোটরসাইকেল ভাড়া নেয়। তারা তিনজন ও কায়েমের মোটরসাইকেল উঠে চৌগাছার সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সৈয়দপুর গ্রামের মাঠে পৌঁছে কায়েমকে থামতে বলে। কায়েম গাড়ি থামানোর পরই ইয়াসিন মোটরসাইকেলের চাবি দিতে বলে। কিন্তু কাইয়ুম রাজি না হওয়ায় চাকু দেখিয়ে ভয় দেখায়। একপর্যায় তাদেরমধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। তিনজনে কায়েমকে জাপটে ধরে। এরমাঝে অন্তর ছুরি দিয়ে কাইয়ূমের গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় ।
এদিকে পরের দিন ভোরে যশোর সদর উপজেলার কাদিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কায়েমের মরদেহ ঘটনাস্থলথেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত কায়েমের স্ত্রী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। মামলার পরই পুলিশ অভিযানে নেমে ওই দুই আসামিকে আটক করে একই সাথে ১২ ঘন্টার মধ্যে ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে।
এ বিষয়ে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, কায়েম গভীর রাতেও সাধারন মানুষকে মোটরসাইকেলে বাড়িতে পৌঁছে দিতেন। ওই তিন কিশোর সেই সুযোগ নিয়ে কায়েমকে হত্যা করে। হত্যার সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া এরসাথে জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। #