যশোরে অপহরণের প্রায় এক মাস  পরে তিন জনের নামে থানায় মামলা

যশোর প্রতিনিধি
যশোর সদরের  চাঁচড়া ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছাঃ ফারজানা ইয়াসমিন ওরফে সুমাইয়া (১৬) কে বিয়ের প্রলোভনে অপহরনের এক মাস পর  বৃহস্পতিবার বিকেলে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নানী যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া মধ্যপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর স্ত্রী মোছাঃ খুরশিদা বেগম বাদি হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আসামিরা হচ্ছে, মাগুরা সদর উপজেলার গাংনি চড়পাড়ার জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে হাবিবুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাজমুল শেখ এবং হামিদ শেখের ছেলে রাশেদুল শেখ ।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, তার নাতনীর ঝিকরগাছা উপজেলার ছুটিপুর গ্রামে হাফিজুর রহমানের মেয়ে। নানী বাড়িতে থেকে সুমাইয়া ভাতুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। তার বাড়ির ভাড়াটিয়া ইকবাল হোসেনের বাড়িতে  উল্লেখিত আসামীরা প্রায় সময় আসতো । সেই সুবাদে তার নাতনীর সাথে আসামিদের পরিচয় হয়। এবং আসামীদের মধ্যে হাবিবুল্লাহ নানা ভাবে তার নাতনীকে কুপ্রস্তাব দিতো। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি ইকবাল হোসেনের মাধ্যমে আসামিদের নিষেধ করেন। কিন্তু তারা শোনেনী। বরং তারা তার নাতনীকে অপহরণের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। গত ১১ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় তার নাতনী খাবার কেনার জন্য চাঁচড়া বাজারের দিকে যায়। সে সময় আসামিরা দু’টি মোটরসাইকেল করে এসে বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে তার নাতনীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তিনি জানতে পেরে ইকবাল হোসেনের মাধ্যমে আসামি রাশেদুলের সাথে যোগযোগ করেন। তারা তার নাতনীকে ফেরৎ দেবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু আজ না কাল বলে সময়ক্ষেপন করে। বাধ্য হয়ে নাতনীকে ফেরত পাওয়ার আশায় তিনি থানায় মামলা করেন। আসামিরা তার নাতনীকে ঢাকার অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে বলে তিনি ধারনা করছেন। #