যশোর প্রতিনিধি
শহরের মুজিব সড়ক রেলগেটস্থ আলোচিত ডাক্তার আব্দুর রউফ এর পঙ্গু হাসপাতালের লিফটের নীচে আন্ডার গ্রাউন্ডে মফিজুর রহমান শেখ (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ তুলে ছেলে শেখ সোয়েব উদ্দীন বাদি হয়ে রোববার ৩ এপ্রিল বিকেলে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামী করেছেন অজ্ঞাতনামা। ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের মফিজুর রহমান শেখ এর ছেলে সোয়েব উদ্দীন আশংকা প্রকাশ করেছেন তার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে লিফটের নীচে রাখা হয়েছে।
শেখ সোয়েব উদ্দীন মামলায় উল্লেখ করেন,তার দাতি আছিয়া (৯০) এর পায়ের অপারেশন করার জন্য গত ২৭ মার্চ যশোর শহরের মুজিব সড়ক রেলগেটস্থ ডাক্তার আব্দুর রউফ এর পঙ্গু হাসপাতালের সপ্তম তলার ৭০৩ নং কক্ষে ভর্তি করানো হয়। পরের দিন ২৮ মার্চ বাদির দাদির ডান পায়ের হাটুর উপরে থায়ের হাদের অপারেশন করানো হয়। বাদির দাদির অপারেশনের পর থেকে তার বাবা মফিজুর রহমান রহমান শেখ ও মাতা বাড়ি থেকে উক্ত পঙ্গু হাসপাতাল হতে প্রতিদিন কালীগঞ্জ থানাধীন আড়পাড়া গ্রামের যাতায়াত করতেন। এভাবে যাতায়াতের এক পর্যায় গত ৩১ মার্চ বাদির পিতা ও মাতা বাড়ি থেকে পঙ্গু হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। দুপুর ১২ টায় উক্ত হাসপাতালে পৌছায়। হাসপাতালে পৌছানোর পর বাদির পিতা তার স্ত্রীকে তার মায়ের কাছে রেখে দাদির অপারেশন বাবদ হাসপাতালের যাবতীয় বিল পরিশোধের জন্য বেলা সোয়া ১২ টায় বিলের কাগজপত্র নিয়ে ৭০৩নং কক্ষ হতে বের হয়ে আসেন। বের হওয়ার অনুমান ২/৩ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও বাদির পিতা ফিরে না আসায় মাতা তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। বাদির মাতা তার পিতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ফোন করলে মোবাইল রিসিভ না করায় বাদিকে বিকেল ৪ টায় সময় জানায়। বাদি বাড়িতে থাকা অবস্থায় মায়ের মোবাইল ফোন পেয়ে সংবাদ শুনে খালা মিতা ও খালু সুমনকে মোটর সাইকেল যোগে যশোরে উক্ত পঙ্গু হাসপাতালে ছুটে আসে। বাদির মায়ের দেওয়া তথ্য মতে বাড়ি উক্ত হাসপাতালের আশপাশে ফার্মেসীতে খোঁজ খবর নিয়ে রাত ১১ টা পর্যন্ত না পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডাইরী করেন। যার নং ১৬৪২, তারিখ ৩১/৩/২২ইং। উক্ত সাধারণ ডাইরী করার পর বাদি তার নিকটতম আত্মীয়স্বজনদের কাছে খোঁজখবর নিয়ে কোন তথ্য পাননি। ২ এপ্রিল দুপুর ১ টায় পঙ্গু হাসপাতালের কতৃপমের মাধ্যমে বাদি জানতে পারেন পঙ্গু হাসপাতালের লিফটের নীচে আন্ডার গ্রাউন্ডে একটি মৃত দেহ পাওয়া গেছে। মরদেহটি চিহ্নিত করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদিকে আসতে বলে। বাদি তৎক্ষনি আত্মীয়স্বজন নিয়ে উক্ত পঙ্গু হাসপাতালে পৌছে তার পিতা মফিজুর রহমান শেখ এর ক্ষতবিক্ষত মৃত দেহ চিহ্নিত করেন। বাদির ধারণা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অজ্ঞাতনামা আসামী/ আসামীরা তার পিতা মফিজুর রহমান শেখ নির্মমভাবে হত্যা করে লিফটের আন্ডার গ্রাউন্ডে লুকিয়ে রেখেছে।#