যশোর প্রতিনিধি
পাওনা টাকা আনতে যেয়ে যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাঠালতলায় হোসাইন মোহম্মদ রুম্মান (৩১) প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়েছে। আরিফের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। আরিফ পুরাতন কসবা ঢাকা রোড রায়পাড়া বটতলা ব্রিজের পাশে মৃত বজলু খলিফার ছেলে। ২৫ মার্চ শুক্রবার রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাঠালতলায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে। রুম্মান হত্যার ঘটনায় মামলায় এ কথা উল্লেখ রয়েছে। নিহত রুম্মান শহরের পুরাতন কসবা পুলিশ লাইন মাদ্রাসার পিছনে লিয়াকত পাটোয়ারির ছেলে। হত্যার ঘটনায় ভগ্নিপতি পুরাতন কসবা পুলিশ লাইন গেটের লাইকুজ্জামানের ছেলে আলিমুজ্জামান শনিবার রাতে ২৬ মার্চ কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনকে আসামি করেন। আসামিরা হচ্ছে, শহরের পুরাতন কসবা ঢাকা রোড রায়পাড়া বটতলা ব্রিজের পাশে মৃত বজলু খলিফার ৩ ছেলে আরিফ হোসেন আরিফ , আহাদ ও শাহাদত হোসেন, পুরাতন কসবাকাজি পাড়ার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে ইকরামুল , সদর উপজেলার শেখহাটির মতিয়ার রহমানের ছেলে মাইমুন, নতুন উপশহরের সাজ্জাদ হোসেন , পুরাতন কসবা ঢাকা রোড রায়পাড়া বটতলা ব্রিজের পাশে সিরাজের ছেলে আব্দুর রহমান , একই এলাকার হৃদয় ওরফে গেরিলা হৃদয় , শুভ, ফারুক হোসেনের ছেলে ভাষা , আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জোনায়েত শিমুলসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন। পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলায় আলিমুজ্জামান উল্লেখ করেছেন, তার শ্যালক রুম্মান ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতো। পাওনা টাকা নিয়ে আসামি আরিফসহ অন্যান্য আসামিদের সাথে রুম্মানের পূর্ব শত্রুতা ও বিরোধ চলে আসছিলো। এ কারণে আসামিরা রুম্মানকে মারপিট খুন জখমের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছিলো। ২৫ মার্চ শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টায় আসামি আরিফ রুম্মানকে পাওনা টাকা নেয়ার জন্য যেতে বলে। রুম্মান টাকা নেয়ার জন্য ঢাকা রোডস্থ পুরাতন কসবা কাঠালতলা জনৈক আব্দুর জব্বারের ভাংড়ী দোকানের পিছনে যেয়ে আরিফের নিকট পাওনা টাকা চায়। টাকা না দেয়ায় আরিফের সাথে রুম্মানের কথাকাটাকাটি হয়। টাকা না পেয়ে রুম্মান বাড়িতে আসার প্রস্তুতি নিলে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ধারালো দা লোহার রড ও বার্মিজ চাকু নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে রুম্মানের উপর হামলা চালায়। আসামি আরিফের হুকুমে ২ নং আসামি আহাদ বার্মিজ চাকু দিয়ে রুম্মানের বুকের বামপাশে পাজরে আঘাত করে রক্তাত্ত জখম করে। ৫ নং আসামি মাইমুন রুম্মানের হাত ধরে রাখে ১ নং আসামি আরিফ বার্মিজ চাকু দিয়ে আঘাত করে নাভির বামপাশে জখম করে। ৪ নং আসামি ইকরামুল ধারালো দা দিয়ে নিতম্ভের বাম পাশে কোপ মেরে জখম করে। অন্যান্য আসামিরা লোহার রড দিয়ে রুম্মানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলাপাতাড়ি মারপিট করে জখম করে। রুম্মানের চিৎকারে তাকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। রুম্মানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ২৫ মার্চ রাত ১১ টা ২০ মিনিটে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২৫ মিনিট পর অর্থাৎ ১১ টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুম্মানের মৃত্যু হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এস আই খালিদ ইবনে হোসেন জানান, রুম্মানের নামে অস্ত্র মাদক ও বিষ্ফোরকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। রুম্মান হত্যার ঘটনায় এখনো কেউ আটক হয়নি। আসামি আটকের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। #