যশোর প্রতিনিধি
শহরের মণিহার সিনেমা সিনেমা হলের রেষ্টুরেন্ট এর সামনে যুবক হাফিজুর রহমান (২০) কে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ছুরিকাঘাতসহ নগদ সাড়ে ২২ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার মামলাটি করেন আহত যুবকের পিতা শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া কদমতলার মৃত ফটিক শেখ এর ছেলে সোনা মিয়া শেখ। মামলায় আসামীরা করেছে শহরের সিটি কলেজপাড়ার ওয়ালিদের ছেলে হুরাইয়া, বারান্দী মোল্যাপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বরকত, মুড়লী মহাসীন স্কুলের পিছনে রবীনের বাড়ির ভাড়াটিয়া শফি ড্রাইভারের ছেলে ইসমাইল হোসেন ওরফে হ্যাপি, শংকরপুরের শান্ত, বারান্দী মোল্যাপাড়া আমতলার হামিদের ছেলে বাপ্পীসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহার নামীয় আসামী বরকতকে গ্রেফতার করেছে।
মামলায় বাদি বলেন,তার ছেলে হাফিজুর রহমান শহরের আরএন রোডস্থ মটর পার্টস দোকানে থাকে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা হাফিজুর রহমানকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকী দিয়ে আসছিল। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় হাফিজুর রহমান চুলকাটার জন্য মণিহার মোড়ে যাওয়ার পথে উল্লেখিত স্থানে পৌছানো উক্ত আসামী ও তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগী আসামীরা বাদির ছেলে পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে অর্তকিত হামলা শুরু করে। হুরাইয়া ও বরকত তাদের হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে হাফিজুর রহমানের পিঠে ও বুকের বাম পাশের্^ আঘাত করে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। হ্যাপি ও শান্ত ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে রড দিয়ে মারপিট করে পকেটে থাকা নগদ ২২ হাজার ৫শ’ টাকা কেড়ে নেয়। হাফিজুর রহমানের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাফিজুর রহমানকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ ২নং আসামী বরকতকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে।