যশোর প্রতিনিধি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের প্রতিবাদ করায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দপ্তর কাম নাইট গার্ড মনিরুল ইসলাম (৩৪) কে হাতুড়ি ও ধারালো দিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে। এ ঘটনায় তিন মাদক বিক্রেতা সন্ত্রাসী ও তাদের অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মামলাটি করেছেন, যশোর সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নাইটগার্ড আহত মনিরুল ইসলামের ছোট বোন মনিয়ারা ইয়াসমিন। মামলার আসামীরা হচ্ছে,সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রামের বজলু বিশ^াসের ছেলে পিয়াল হোসেন, আশরাফুল আলম ওরফে আশা ও মৃত সরই বিশ^াসের ছেলে বজলো বিশ^াস বজোসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন। পুলিশ মামলার এজাহার নামীয় আসামী ঘুরুলিয়া হাটখোলা বাজারের পাশে মৃত আজিজুর রহমান বিশ^াস ওরফে সরই বিশ^াসের ছেলে বজলুর রহমান ওরফে বজোকে গ্রেফতার করেছে।
যশোর সদর উপজেলার নূরপুর মধ্যপাড়ার আকছাদুর রহমানের স্ত্রী ও ঘুরুলিয়া গ্রামের মৃত হারুণ বিশ^াসের মেয়ে মনিয়ারা ইয়াসমিন বাদি হয়ে মামলায় বলেন,তার বড় ভাই মনিরুল ইসলাম ঘুরুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নাইটগার্ড। উক্ত আসামীরা এলাকায় মাদক বিক্রিসহ সেবন করে বেড়ায়। তারা উক্ত বিদ্যালয়ের বারান্দায় মাঝে মধ্যে অবস্থান নিয়ে মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবন করায় মনিরুল ইসলাম বাঁধা নিষেধ করে। এতে মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরুল ইসলামকে ক্ষতি খুন জখমের সুযোগ খুঁজতে থাকে। গত ২২ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টায় মনিরুল ইসলাম ঘুরুলিয়া হাটখোলা বাজার মোড়ে জনৈক আশ্রাব বিশ^াসের চায়ের দোকানে বসে চা পান করার জন্য অপেক্ষা করছিল। হঠাৎ পূর্ব জের ধরে উক্ত আসামীরা হাতে হাতুড়ি ও বাঁশ ,লোহার রড নিয়ে মনিরুল ইসলামের উপর আক্রমন করে। এসময় তাকে পিটিয়ে কুপিয়ে পকেটে থাকা নগদ ৫হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। মনিরুল ইসলামের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীরা দ্রুত চলে যাওয়ার সময় হুমকী দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মনিরুল ইসলামকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মামলার এজাহার নামীয় আসামী বজলুর রহমান ওরফে বজোকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে বুধবার ১০ মার্চ আদালতে সোপর্দ করে।#