যশোর প্রতিনিধি
যশোর সদরের তেতুলিয়া গ্রামের পালিত পুত্র মুসাকে হত্যা অভিযোগে এবার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন তার পিতা। বৃহস্পতিবার তেতুলিয়া গ্রামের মশিয়ার রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক পলাশ কুমার দালাল অভিযোগে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে।
আসামিরা হলো মণিরামপুরের খেদাপাড়া গ্রামের শাহিন আলম ও তার মেয়ে নিহত মুসার স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন, ইয়াকুব আলী ও তার ছেলে শামীম এবং ওমেদ আলীর মেয়ে আরজিনা।
এরআগে সুরাইয়া খাতুন তার স্বামীকে হত্যার অভিযোগে পালিত শ্বশুর শাসুড়ি ও চাচা শ্বশুরকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মুসাকে শিশুকালে দত্তক নিয়ে লালন পালন করে বড় করেছেন। ২০২০ সালের ৯ জুলাই পারিবারিক ভাবে আসামি সুরাইয়া খাতুনের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। সুরাইয়া বাড়িতে এসে সংসার করাকালে অপর আসামিদের পরামর্শে তার নামে ২০ কাঠা জমি লিখে দিতে বলে যাতে তারা পাকা বাড়ি করে আলদা বসবাস করবে। এনিয়ে সুরাইয়া প্রায় সংসারে অশান্তি করত। বিষয়টি জানতে পেয়ে মুসাকে ১ বছর পরে জমি ও বাড়ি করে দেয়ার কথা জানায় তার পালক পিতা। এ নিয়ে গোলযোগ বাধিয়ে সুরাইয়া গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তার পিতার বাড়ি চলে যায়। ১ মার্চ মুসাকে তার শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয় সুরাইয়াকে আনতে। ২ মার্চ দুপুরে মুসা বাড়িতে এসে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এসয় তাকে দ্রুত যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন আসামিরা পারিকল্পিত ভাবে মুসাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে খাবারের সাথে বিসক্ত দ্রব্য খাওয়ায়ে বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়। বাড়িতে এসে মুসা অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।