যশোর প্রতিনিধি: পৃথক দুইটি চুরির ঘটনায় যশোরে তিন চোরকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু চোরাই স্বর্ণালংকার এবং বিক্রি করা প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকাসহ কয়েকটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, মণিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের শেখপাড়ার মৃত নূর ইসলাম দফাদারের জামাই এবং মৃত সামছুল হক মুন্সির ছেলে নূর ইসলাম নুরু, শেখপাড়া খানপুর গ্রামের কৃষ্ণপদ মজুমদারের ছেলে অলোক কুমার মজুমদার ও গাংরা গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত জলিল মোল্যার ছেলে রেজাউল ইসলাম রেজা।
যশোর শিক্ষা বোর্ডে কর্মরত আনসার সদস্য এমদাদুল হক মিলনের কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় বলেছেন, গত ২৫ জানুয়ারি রাতে তিনি শিক্ষা বোর্ডে দায়িত্ব পালন করছিলেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শহরতলীর বালিয়াডাঙ্গা বাবলাতলায় শ্বশুর আসাদুজ্জামানের বাড়িতে বসবাস করেন। গভীর রাত তিনটা থেকে চারটার মধ্যে অপরিচিত ৩/৪জন দৃর্বৃত্ত বাড়ির গেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। প্রথমে তার স্ত্রী লাইজু আক্তারের ঘরে এবং পরে মেয়ে নাজিফা আক্তার রুসনির ঘরে প্রবেশ করে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সেখানে থাকা আলমারির মধ্যে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৯ ভরি স্বর্ণ এবং রূপার অলংকারসহ ৮ লাখ ৩৯ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নেয়। এই ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন এমদাদুল হক মিলন।
অপরদিকে সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের গাজীপাড়ার আসলাম হোসেন যশোর আদালতের একজন আইনজীবী সহকারি হিসেবে কাজ করেন। গত বছরের ৩০ নভেম্বর রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা চোরেরা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। এসময় ঘর থেকে দুইটি মোবাইল ফোনসেট, দেড় ভরি স্বর্ণালংকার ও এক জোড়া ব্রোঞ্জের অলংকার চুরি করে নেয়। এই ঘটনায়ও আসলাম হোসেন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে মামলা করেন। চুরির ঘটনার দুইটি মামলাই তদন্তের জন্য তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্নভাবে তদন্ত শুরু করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে মুণরামপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে প্রথমে নুল ইসলাম নুরুকে আটক করা হয়। নূরুর স্বীকারোক্তি মোতাবেক মণিরামপুর বাজারের পুস্প ও পুজা জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে চোরাই দেড় ভরি স্বর্ণালংকার ও ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল ফোনসেট, একটি রূপার আংটি, এক জোড়া নুপুর ও দুই জোড়া ব্রোঞ্জের চুরি উদ্ধার করা হয়।